বগুড়া প্রতিনিধি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় মঙ্গলবার মধ্যরাতে ৪টি মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।
উপজেলা সোনারায় ইউনিয়নের সাবেক পাড়া, কর্মকার পাড়া, বামুনিয়া ও রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের কামারচট্ট গ্রামের মন্দিরের এসব প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে বলে জানান গাবতলী থানার ওসি আলী আহমেদ হামশী।
বুধবার সকালে বগুড়া জেলা প্রশাসক সারোয়ার মাহমুদ, জেলা পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পূজা উদযাপন পরিষদ, আওয়ামী লীগ নেতারাসহ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে নিরাপত্তা ও ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন।
রামেশ্বরপুরের কামারচট্ট গ্রামের বাসিন্দা শিশির কর্মকার সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতে তার এলাকার মন্দির ভাংচুরের পর লোকজন আতঙ্কে রয়েছে। নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে হিন্দু পরিবারের সদস্যরা শঙ্কিত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিরা সুলতানা জানান, যে মন্দিরগুলো ভাঙ্গা হয়েছে সবগুলোই রাস্তার পাশে। প্রতিটি মন্দিরে শুধু প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরের আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ এইচ আজম খান জানান, আক্রান্ত এলাকার লোকজন খুবই গরিব এবং নিরক্ষর। কে বা কারা মন্দির ভাঙ্গেছে এ বিষয়ে তারা মুখ খুলছেন না।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়।
রায়ের পর পরই সারাদেশে জামায়াত-শিবিরে তাণ্ডবে সাত পুলিশসহ ৬৭ জন নিহত হয়। এ সময় বিভিন্ন জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়।
বগুড়ায় পুলিশের উপর হামলা, আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘরে হামলা, ছাত্রাবাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।
পাশাপাশি শাহবাগ গণজাগরণ আন্দোলনের সংহতি মঞ্চও ভেঙ্গে দেয় জামায়াত ইসলাম ও তাদের সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
No comments:
Post a Comment