নির্বাচন মানেই সংখ্যালঘু নির্যাতন ও কিছু হাহাকার

গত ২৬ ডিসেম্বর তারিখে বিডিনিউজ২৪ বাংলা ব্লগে বেতাল নামক ব্লগার একটি পোস্ট লিখেছেন। প্রাসঙ্গিক বিবেচনা করে পোস্টটি এখানে পুনরায় প্রকাশ করা হলো।
বাংলাদেশের জম্ম যদিও ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে জম্ম হয়েছিল, বাস্তবে এখন আর নেই। এরশাদ সরকার উনার বাবার সম্পত্তির মতই একে মুসলিম দেশ হিসেবে ঘোষণা করেন। এর জন্য তিনি নেননি কোন জনসাধারণের মতামত। সাথে সাথেই বাংলাদেশের কপালে আরেকবার কালিমা লেপন করা হলো। পর্যায়ক্রমিকভাবে সময় এগিয়ে গেলেও অসভ্যতার মায়াজাল আরো ঘনীভূত হয় বাংলাদেশে।

২০০১ এর উপাত্ত অনুসারে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৯ শতাংশ ছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বী। মোট জনসংখ্যার মাত্র নয় শতাংশ মানুষ যদি আঃ লীগে ভোটও দেয়, তাহলে কোন ভাবেই আঃ লীগ জয়ী হতে পারেনা। এর মানে, এই হলো বাংলাদেশ সরকার গঠনে আঃ লীগকে ভোট সংখ্যা গরিষ্ঠতায় আংশিক বা পূর্ণাংগভাবে জয়ী হতে হলে, অবশ্যই অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদেরও সহযোগী থাকতেই হবে।

কিন্তু, দূর্ভাগ্য হলেও সত্যি, ২০০১ সালে সবচেয়ে বেশি হেনস্থা হতে হয়েছিল একদল মানুষদের যাদের ধর্ম ছিল হিন্দু। হত্যা, সম্পত্তি লুন্ঠন, অকথিত অত্যাচার ও গণধর্ষনের মতো বেশ ভয়াবহ অপরাধ উঠে আসে কোন এক দল রাজনৈতিক দলগোষ্ঠির কর্মীদের সাহায্যে। তাদের অপরাধ, তারা মালাউন। তারা আঃ লীগের ভোট ব্যাংক। ভোট যদি নাগরিক মৌলিক অধিকার হয়, তবে আঃ লীগকে ভোট দেওয়াও কোন অপরাধ নয়। তবে, এর শাস্তি হিন্দুসহ সমস্ত সংখ্যালঘুদের কেন দিতে হবে? মানবতা বিরোধী এই অসুস্থ মানসিকতার আসল হোতা কারা? তাদেরই বা কেন বিচার হলো না? আপনার বা আমার কারো কিছু হয় নি বলে মুখে কলুপ এটে কতক্ষণ? নারকীয় অতি অল্প কিছু সত্য দৃশ্য দেখুন,









বাংলাদেশের যেকোন রাজনৈতিক দল সংখ্যালঘুদের ও তাদের স্বার্থ সংক্রান্ত মুখ ভরা বুলি থাকলেও বাস্তবে তার কোন প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায় না। শুধু সংখ্যালঘু কেন, কতো সাধারণ মানুষ হেনস্তা হয়েছেন। অনেকেই বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যা লঘুদের জামাই আদরে রাখা হয়েছে। আমি শুনি আর হাসি। সরকারী বড় কোন পোস্টে কতজন সংখ্যালঘু রয়েছে, বলুন তো? দেখাতে পারবেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো সংখ্যালঘু কি কখনো প্রধান মন্ত্রী হয়েছেন, বা প্রেসিডেন্ট বা স্পিকার? আমাদের নিজেদের ভাগ্যকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। বাংলাদেশে এখনো সংখ্যালঘু ভিত্তিক কোন উগ্র সম্প্রদায়ের উথ্থান ঘটেনি। ভুলে গেলে চলবে না, সময়ের সাথে
সাথে অত্যাচারিত মানুষদের ভাষা প্রতিবাদ কঠোর হয়ে আসে। ভৌগলিক দিক থেকে বিবেচনা করলে বাংলাদেশের প্রায় সব অংশই ভারত দ্বারা পরিবেষ্টিত। নিজামীর ভাষায়, “বাংলাদেশ ভারতের তাঁবেদার রাষ্ট্র বানানোর চক্রান্ত চলেছে” লিংকটা দাও। সঠিকভাবে নির্বাচনপূর্ব ও পরবর্তি সময়গুলো সংখ্যালঘু ও সবার মানবাধিকার সঠিকভাবে পালন না করলে, আমাদের অনেক বেশি মূল্য দিতে হতে পারে।

একগাদা মানুষের অভিশাপ হাহাকার হয়ে পিছু লাগবে।

No comments:

Post a Comment