চট্টগ্রাম, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরীতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।
শুক্রবার সকালে ‘সচেতন হিন্দু সমাজের’ ব্যানারে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এ সমাবেশ হয়।
সমাবেশ শুরুর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর চেরাগী পাহাড়, নন্দনকানন, শহীদ মিনার, আন্দরকিল্লা হয়ে প্রেস ক্লাব চত্বরে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ইস্যুটি একটি জাতীয় ইস্যু। কিন্তু এ ইস্যুর উপর ভিত্তি করে দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা, অগ্নিসংযোগ, হত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে।
স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও এ দেশে হিন্দু সম্প্রদায় বারবার হামলার শিকার হয় বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।
তাদের অভিযোগ, এসব হামলার কখনও বিচার হয়নি। আর এ কারণে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার বিষয়টি এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সমাবেশ থেকে হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচার আইনে বিচার, ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির, বাড়িঘর এক মাসের মধ্যে সংস্কারের দাবি করা হয়।
দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থাপনার উপর হামলার ঘটনার ছবি সম্বলিত বিভিন্ন পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও কালো পতাকা নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন সমাবেশে উপস্থিত হয়।
এ সময় সবাই স্লোগানে বলেন, ‘রায় দিয়েছে আদালতে, হিন্দুদের দোষ কী তাতে?’, হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই, তবে হিন্দুর ঘর কেন পুড়ে ছাই?’।
এদিকে, কোনো মঠ, মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা হলে তা প্রতিরোধ এবং প্রতিবাদ করার অঙ্গীকার নিয়ে সমাবেশে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রকৌশলী রিপম দাশ।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
এরপর জামায়াত-শিবির সারাদেশে যে তাণ্ডব চালায় তাতে সরকারি হিসাবে সাত পুলিশসহ ৬৭ জন নিহত হয়।
এ সময়ে সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একজন, সাতকানিয়ায় তিনজন ও লোহাগাড়ায় তিন জন নিহত হন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
No comments:
Post a Comment