হাটহাজারী সংবাদদাতা :: তুচ্ছ ঘটনার রেশ ধরে ফতেয়াবাদের নন্দির হাট এলাকার কাজি পাড়া জামে মসজিদে ঢিল মারা ও মন্দির ভাঙচুর করাকে কেন্দ্র করে পুলিশ-জনতার সংঘর্ষে চট্টগ্রামের হাটহাজারী রণক্ষেত্রে পরিণত হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সংঘর্ষে হাটহাজারী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারসহ আহত হয়েছে প্রায় ৩৫ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রায় শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। এই সময় উশৃংখল জনতা বেশ কয়েকটি মন্দিরে ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি রুটের বিভিন্ন স্পটে ব্যারিকেট দেয়। তবে এই বিষয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের কেউই মুখ খুলছে না
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার উপজেলার ফতেয়াবাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তুচ্ছ ঘটনার রেশ ধরে নামাজের সময় ফতেয়াবাদের নন্দির হাট এলাকার কাজি পাড়া জামে মসজিদে ঢিল মারা ও মসজিদ ভাঙচুর করাকে কেন্দ্র করে পুলিশ-জনতার সংঘর্ষ বাধে। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় জনতার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। আর এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। আর এই সংঘর্ষে হাটহাজারী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ (বিপিএম) আহত হয়েছেন প্রায় ৩৫ জন। ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রায় এক শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। এর আগে স্থানীয় উশৃংখল জনতা জুমার নামাজ শেষ করে উপজেলার হাটহাজারী বাজার, বাসষ্টেশন, মদনহাট, ইসলামীয়া হাট, নন্দির হাট ও ধোপার দীঘির পাড়া এলাকায় জড়ো হয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে উক্ত ঘটনার জন্য প্রতিবাদ করতে শুরু করে। এরমধ্যে এক পর্যায়ে উশৃংখল জনতা নন্দিরহাট এলাকা ও হাটহাজারী সদর এলাকার বেশ কয়েকটি মন্দিরে ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগর মত ঘটনা ঘটে। এই সময় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামটি সড়কে যান চলাচল প্রায় আট ঘন্টা বন্ধ ছিল। এতে দুর্ভোগে পড়তে হয় শত শত পর্যটকসহ কয়েক হাজার সাধারণ জনগণকে। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ভুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উক্ত এলাকা গুলোতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এ ছাড়া এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়। তবে এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত এলাকার থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছিল।
ইউকে বিডি নিউজ
No comments:
Post a Comment