স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি ॥ চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার নন্দিরহাট এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই সম্প্রদায়ের উগ্র একশ্রেণীর মানুষের কারণে এলাকায় মসজিদে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ভাংচুর হয়েছে প্রতিমা। এ ঘটনায় পুলিশসহ ১২ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটার অবস্থা সৃষ্টি হলে বিকেল থেকে হাটহাজারী সদর এলাকায় জেলা প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এর আগে সকালের পর থেকে নন্দিরহাটের আগের স্থান ইসলামিয়াহাট থেকে মহাসড়কের তিনটি স্থানে অবরোধ সৃষ্টি করা হয়।
হাটহাজারীর নন্দিরহাটে দুই সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে সৃষ্ট উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে সন্ধ্যা থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এর পর থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে সৃষ্ট ব্যারিকেড। ফলে চট্টগ্রামের সঙ্গে দুই পার্বত্য জেলার পুনরায় যোগাযোগ শুরু হয়েছে।
অপরদিকে মন্ত্রী আফসারুল আমীনের নেতৃত্বে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা বিকেলে হাটহাজারী বড় মাদ্রাসায় বৈঠক করেন। এর পরে রাতে লোকনাথ আশ্রমের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেন। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলছিল। বৈঠকে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, জেলা পরিষদ প্রশাসক এমএ সালাম, পুলিশ সুপার জেডএ মোরশেদসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ও শান্ত রয়েছে।
এদিকে শুক্রবার বিকেলে উচ্ছৃক্সখল জনতা হাটহাজারীর বিভিন্ন এলাকায় ৩টি মন্দির, ১টি খাবার দোকান, ৪টি স্বর্ণের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং লুটতরাজ চালায়। মন্দিরগুলো হচ্ছে মুদ্দেস্বরী মন্দির, কালীবাড়ি মন্দির এবং জগন্নাথ মন্দির। অপরদিকে ব্রাহ্মণপাড়ায় ৪টি বসতঘরে আগ্নিসংযোগ করার খবর পাওয়া গেছে। গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আফছারুল আমীন, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, জেলা, উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন স্থানীয় নেতৃবৃন্দের নিয়ে হাটহাজারী মাদ্রাসায় এ ব্যাপারে বৈঠক করছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, স্থানীয় অনেকেই বলছেন, জামায়াতে ইসলামী এই ঘটনায় ইন্ধন দিচ্ছে।
মন্দির ভাংচুরের মাধ্যমে পরিস্থিতিকে অস্থির করতে স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের ইন্ধন রয়েছে বলে মনে করছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক এমএ সালাম। আওয়ামী লীগের এ নেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার পর জামায়াত-শিবির পরিস্থিতি অস্থির করতে ইন্ধন যোগাচ্ছে।’
হাটহাজারীর নন্দীরহাট থেকে তিন কিলোমিটার দূরের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষে দুই ছাত্র নিহত হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবারের পর উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় হাটহাজারী এলাকায় যথেষ্ট সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়নি বলে মনে করেন সালাম। হাটহাজারী থানা বিএনপির সভাপতি এসএম ফজলুল হক পরিস্থিতির অবনতির জন্য প্রশাসনিক ব্যর্থতাকেই দায়ী করেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রশাসন শুরু থেকে তৎপর থাকলে পরিস্থিতি এত দূর গড়াত না। এলাকায় সম্প্রীতি রক্ষায় বিএনপির সব নেতাকর্মীকে কাজ করতে বলা হয়েছে জানিয়ে ফজলুল বলেন, এখন সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।
স্থানীয় ও প্রশাসনের বিভিন্ন সূত্রে জানানো হয়, ঘটনার সূত্রপাত হয় বৃহস্পতিবার দুপুরে। স্থানীয় শ্রী শ্রী লোকনাথ আশ্রমের বার্ষিক মহোৎসব উপলক্ষে একটি ব়্যালি বের করে আশ্রমেরভক্তরা। এ র্যালিটি হাজীপাড়া এলাকার একটি মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ধুলোবালি উড়া এবং ঢোল বাজানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার পর বিকেলে পুলিশের উপস্থিতিতে একটি সমঝোতা বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। কিন্তু সন্ধ্যা সাতটার পর এলাকার একদল যুবক লোকনাথ আশ্রমে গিয়ে হামলা চালায়। সেখানে মহোৎসবের জন্য তৈরি করা মঞ্চ, মূর্তি এবং মন্দিরের ভিতরে ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা।
খবর পেয়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। পুলিশ দু’প¶কেই শান্ত থাকার নির্দেশ দিলে রাতে আর কোন ঘটনা ঘটেনি। পরে শুক্রবার সকালে স্থানীয় মুসল্লিরা অভিযোগ করেন, লোকনাথ আশ্রমেরভক্তরা মসজিদের দেয়াল ভেঙ্গে দিয়েছে। এ অভিযোগ তুলে তারা সকাল এগারোটার দিকে চট্টগ্রাম-নাজিরহাট সড়কে ব্যারিকেড দেয়। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালালেও সফল হননি। পরে পুলিশ গিয়ে ব্যারিকেড তুলে দিলেও জুমার নামাজের পর তারা আবার রাস্তায় নেমে আসে। একপর্যায়ে বেলা আড়াইটার দিকে তারা হামলা চালায় নন্দিরহাট এলাকার একটি মন্দিরে। এ সময় পাশের একটি মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেয় উগ্র যুবকরা।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নন্দিরহাট, ছড়ারকুল, ফতেয়াবাদ, ইসলামিয়াহাট এলাকায় দু’পক্ষের শত শত মানুষ জড়ো হতে থাকে। চলতে থাকে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া। এ ঘটনায় পুলিশের হাটহাজারী সার্কেলের এএসপি বাবুল আখতার এবং ৫ পুলিশসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে, এ ঘটনার জের ধরে হাটহাজারী সদরে বড় মাদ্রাসার পাশে একটি মন্দিরে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। পরে বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সামান্য ব়্যালি নিয়ে ঘটনা ঘটেছে বলে বলা হলেও এ ঘটনার পিছনে অন্য কোন পক্ষের ইন্ধন আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেননা, যে মসজিদকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে তার আশাপাশে একটি মৌলবাদী সংগঠনের লোকজনের বসবাস আছে। এলাকার লোকজন বলেছে, লোকনাথ আশ্রমে অনেকদিন ধরে মহোৎসব হয়ে আসলেও কখনই এমন ঘটনা ঘটেনি। তাছাড়া মুসল্লি হিসেবে যারা হামলায় অংশ নিয়েছে তার মধ্যে এলাকার বাইরের অনেক লোকজন ছিল বলে প্রত্য¶দর্শীরা জানিয়েছে।
হাটহাজারী উপজেলার নন্দীরহাটে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির একপর্যায়ে মসজিদে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং বৃহস্পতিবার রাতের আঁধারে শ্রী শ্রী লোকনাথ আশ্রমে হামলা ও প্রতিমা ভাঙ্গার ঘটনা ঘটলে চরম উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। মসজিদে ইটপাটকেল নিক্ষেপের প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে নন্দীরহাট ধোপারদীঘি এবং ইসলামিয়াহাট এলাকার উগ্রবাদীরা মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার থেকে লোকনাথ আশ্রমে দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে বাদ্যযন্ত্রসহকারে মহোৎসবের র্যালি নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় কাজীপাড়া মসজিদে জোহরের নামাজ চলছিল। এ অবস্থায় কয়েক মুসল্লি বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখার অনুরোধ জানালেও তা উপস্থিত হওয়ায় উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে আবুল কালাম, আজিজুল ইসলাম ও মামুন নামের তিন যুবক আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আশ্রমের অনুষ্ঠান কার্যক্রমও স্বাভাবিক রাখার প্রয়াস নেয়া হয়। কিন্তু শুক্রবার মুসলিম সম্প্রদায়ের উগ্র কিছু যুবক আবারও বিভিন্ন মন্দিরে হামলার উদ্যোগ নিলে পরিস্থিতি অবনতি ঘটে। হাটহাজারী সদর এলাকার একটি মন্দিরেও হামলা চালায় কিছু যুবক। এছাড়া সদর এলাকার একটি মার্কেটের দোকানপাটও লুট হয়। এ অবস্থায় সন্ধ্যা থেকে মাইকিং করে হাটহাজারী সদর এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে ১৪৪ ধারা বলবত রয়েছে। জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহমেদ তাঁর নিজ ক্ষমতাবলে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন বলে জনকণ্ঠকে জানান। এলাকায় পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে। দুপুরের পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীন এমপি ঘটনাস্থলে গিয়ে সেখানে অবস্থান করছিলেন। এছাড়া চট্টগ্রাম শহর এলাকার বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সচেষ্ট হন। ঘটনার ব্যাপারে কয়েকটি সূত্রে জানানো হয়েছে, এলাকার মৌলবাদী সংগঠন সমর্থক কিছু যুবক পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে বিভিন্ন মন্দিরে হামলা চালিয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতৃবৃন্দের একটি সূত্র জানায়, স্থানীয় একটি কওমী মাদ্রাসার ছাত্ররা লোকনাথ আশ্রমের মহোৎসবের মিছিলের ধুলোবালি এবং বাদ্যবাজনা মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট করেছে দাবি করে পুরো পরিস্থিতিকে উস্কে দিয়েছে।
এদিকে সোনারগাঁ বারুদী ব্রহ্মচারী আশ্রমের সেক্রেটারি সাংবাদিক শংকর কুমার দে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি করেছেন।
প্রতিবাদে ঢাকায় মানববন্ধন
পূজা উদ্যাপন পরিষদের
এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের উদ্যোগে এক মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কাজল দেবনাথের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব) সিআর দত্ত বীরউত্তম, লে. কর্নেল সি কে দাস, মঙ্গল চন্দ্র ঘোষ, বীরেশ চন্দ্র সাহা, সুকুমার চৌধুরী, এ্যাডভোকেট তাপস পাল, নির্মল চ্যাটার্জী, দ্বীপেন চ্যাটার্জী, উৎপল রায়, ভাস্কর চৌধুরী, বিধুভূষণ গোস্বামী, প্রদীপ দাস প্রমুখ। তারা অবিলম্বে মন্দির ভাংচুরের ঘটনায় উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিহত করার জন্য দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং সন্ত্রাসীদের শাস্তি দাবি করেন।পূজা উদ্যাপন পরিষদের
এছাড়া বাংলাদেশ সনাতন ধর্মীয় সম্মিলিত পরিষদের আহ্বায়ক ব্রিগেডিয়ার জয়ন্ত কুমার সেনের সভাপতিত্বে এক প্রতিবাদসভা শুক্রবার সংগঠনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সাম্প্রদায়িকগোষ্ঠী কর্তৃক চট্টগ্রামের ফতেয়াবাদের লোকনাথ মন্দিরসহ বিভিন্নস্থানে মন্দিরে হামলা-ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ ও সংখ্যালঘুদের বাসায় বাসায় হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সাম্প্রদায়িকগোষ্ঠীর আশীর্বাদপুষ্ট দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানানো হয়। বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি- অবিলম্বে দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতার করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার বিরোধীদের শাস্তির ব্যবস্থা করুন। বক্তারা আরও বলেন, মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া চলাকালে তা বাধাগ্রস্ত করার অশুভ উদ্দেশ্যে দেশে নানা অজুহাতে বিশৃংখলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করার পাঁয়তারার বিরুদ্ধে সরকার তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে দেশে খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। তাই চট্টগ্রামের এই নারকীয় হামলা-ভাংচুর, মন্দির ও হিন্দুদের আবাসিক এলাকায় চরম নৈরাজ্যকর ও আতঙ্কজনক পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন তথা সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক হীরানাথ বিশ্বাস, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অরুণ সরকার রানা, সংগঠনের সদস্য সচিব দিলীপ ভদ্র, এ্যাডভোকেট জে.কে. পাল, উত্তম দাস, দেবোপ্রত দেবু, এ্যাডভোকেট তপন রায়চৌধুরী, এ্যাডভোকেট প্রবাস তন্ত্রী, দিলীপ দাশগুপ্ত, সুভাষ বড়াল, বিজন ভৌমিক প্রমুখ।
দৈনিক জনকণ্ঠ
No comments:
Post a Comment