হাটহাজারীতে ভাংচুর ও অবরোধের ঘটনায় দু’টি মামলা

মোহাম্মদ হোসেন হাটহাজারী, (সিএইচটিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম):- হাটহাজারীতে গত শক্রবারের সড়ক অবরোধ ও ভাংচুরের ঘটনায় পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ২ হাজার ৭ শ’ অজ্ঞাত ব্যাক্তিকে আসামী করা হয়। হাটহাজারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন শক্রবার এ দুটি মামলা দায়ের করেন।

হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সামিউল আলম পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানান, অগ্নিসংযোগ ভাংচুর ও বিস্পোরণ আইন এবং সড়ক অবরোধের ঘটনায় পৃথক পৃথক দু’টি মামলার হয়েছে বলে জানান তিনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে গতকাল শক্রবার থেকে এলাকায় র‌্যাব পুলিশ ও বিজিপি স্ট্রাইকার ফোর্স এর বিপুল সংখ্যক সদস্য রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে । ১৪৪ ধারা জারীর পর থেকে পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেখ ফরিদ আহমেদ।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরের নন্দীহাটস্থ শ্রী শ্রী লোকনাথ সেবাশ্রম মন্দিরের বৃহস্পতি ও শক্রবার ২ দিন ব্যাপী অনুষ্টানে যোগদানের সময় লোকনাথ বক্তরা উত্তর ফতেয়াবাদ কাজী পাড়া হাজী জামে মসজিদ পাশে শোভাযাত্রাটি ঢোল বাজিয়ে যাওয়ার পথে দুপুরের নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিরা ঢোল বাজানো নিষেধ করতে গেলে এ ঘটনার সুত্রপাত হয়। এতে শোভাযাত্রা থেকে মসজিদে জানালা দিয়ে ঢিল ছোড়ে জানালা ভাংচুর করা হয়। পরে মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বের হয়ে এলে উভয় পক্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় তিন মুসল্লি আহত হয়। এর পর রাতেই ফের মসজিদ হামলায় ভাংচুরের ঘটনায় হয়েছে খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। এ দিকে লোকজন লোকনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ রাতেই মন্দিরে হামলা চালিয়েছে বলে জানান। শক্রবার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে মসজিদের ভাংচুরের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা সকাল ১০ টা থেকে চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়ক অবরোধ করে রাখে। তারা রাস্তায় রাস্তা ব্যারিকেট ও মহাসড়কে জু’আ নামাজ আদায় করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য জনসাধারণের রেশানলে পড়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে আসেন। এবং উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা ও ভুলবুঝি অবসান করা জোর চেষ্টা চালিয়ে যান তারা। গতকাল শক্রবার পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় এ এস পি সার্কেল বাবুল আকতার(বিপিএম)সহ ৩০ জন আহত হয়েছিল। নন্দীহাট ও হাটহাজারী সদরে কয়েকটি মন্দির অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা । সকাল ১০ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কে ব্যারিকেট থাকার কারনে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, রাউজান, ফটিকছড়িসহ উত্তর চট্টগ্রামের সাথে সব যানচলাচল বন্ধ ছিল। এ ঘটনায় হাটহাজারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন শনিবার মামলা নং ১৯ ও ২০ তারিখ : ১০-২-২০১২ দায়ের করেন।

www.chtnews24.com

No comments:

Post a Comment