সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
নিজের বিয়ের দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রায় তিন মাস ধরে কলেজছাত্রী পল্লবী নানা পরিকল্পনা করছিলেন। এ জন্য তিনি ২৯ ফেব্রুয়ারি 'লিপইয়ার' কিংবা ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে বেছে নিয়েছিলেন। অবশেষে সোমবার বিকেলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন বিশ্ব ভালোবাসা দিবসেই তিনি তাঁর ভালোবাসার মানুষকে চির আপন করে নেবেন। সে পরিকল্পনা অনুযায়ী সোমবার রাতে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসেন প্রেমিক আল-আমিনের কাছে। কিন্তু পল্লবীর সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করেছে। ভালোবাসা দিবসের প্রথম প্রহরে লাশ উদ্ধারের পর পল্লবীর বাবা বরুণ কুমার বিশ্বাস পুলিশের কাছে অভিযোগ করে জানিয়েছেন প্রেমিক সেজে আল-আমিন তাঁর মেয়েকে খুন করেছে।
উল্লাপাড়া থানার ওসি জানান, উল্লাপাড়া উপজেলার ভাদালিয়া গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে আল-আমিনের সঙ্গে একই কলেজের সহপাঠী পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার পাতিয়া গ্রামের বরুণ কুমার বিশ্বাসের মেয়ে পল্লবী বিশ্বাসের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের টানে পল্লবী সোমবার রাতে আল-আমিনের হাত ধরে পালিয়ে যান। এরপর মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-ঈশ্বরদী রেলপথের মোহনপুরে তাঁর লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী। একপর্যায়ে পল্লবীর লাশ ট্রেনে কাটা পড়ে। পল্লবীর বাবা অভিযোগ করে জানান, আল-আমিন তাঁর মেয়েকে খুন করে ঘটনা ধামাচাপা দিতেই তাঁর লাশ রেললাইনের ওপর ফেলে রেখেছে।
সূত্র: কালের কন্ঠ
No comments:
Post a Comment