আজাদী প্রতিবেদন ॥
নগরীর পাথরঘাটা জলিলগঞ্জ এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় দুই সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ নগরীর অন্যান্য ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় গতকাল দুপুরে দুইদল কিশোরের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের রাতে বড়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষই লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ থেমে থেমে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকলেও পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কেউ কেউ বিশেষ মহল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ফায়দা লুটার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করলেও এ ব্যাপারে পুলিশের কর্তাব্যক্তিরা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর বৃষ্টির মতো ইট পাথর নিক্ষেপ চলতে থাকে দুইপক্ষের লোকজনের মধ্যে। উভয়পক্ষ হামলা চালায় আশপাশের দোকানপাট ও বাসা বাড়িতে। এ সময় ইট পাটকেলের আঘাতে আহত হন অর্ধশতাধিক। আহতদের মধ্যে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান সাজিবের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। আহত অপর সাংবাদিক হচ্ছেন বাংলানিউজ এর উজ্জল ধর। একজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে ঘটনা সামাল দিতে প্রথম দিকে পুলিশের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত দেড়টা) পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানা যায়। ঘটনার সময় গতরাতে এলাকায় উপস্থিত হন সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, স্থানীয় কাউন্সিলরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। তারা দুই পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। এদিকে কোতোয়ালী আসনের সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম বিএসসি উভয় পক্ষকে সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ধারণের ও শান্ত থাকার আহবান জানান এবং পুলিশ প্রশাসনকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান।
দৈনিক আজাদী, ১২/১০/১১। লিংক
No comments:
Post a Comment