স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর তানোর উপজেলার সমাসপুর গ্রামের একটি মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতে ওই গ্রামের হরিমন্দিরে পুজোমণ্ডপে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। দুর্গাপুজোর শুরুর আগে প্রতিমা ভাঙ্গার ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
খবর পেয়ে তানোর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী জিয়াউল বাসেত শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি নতুন করে প্রতিমা তৈরির আশ্বাস দেন। প্রতিমা ভাংচুরের পর থেকেই ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মন্দির কমিটির সভাপতি অনুকূল চন্দ্র কবিরাজ একই এলাকার ইসমাইল হোসেনসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে তানোর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন প্রতিমা ভাংচুরের কথা অস্বীকার করে জানান, তাঁর সম্পত্তি দখল করে সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন মন্দির নির্মাণ করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার সমাসপুর হরিমন্দিরে দীর্ঘদিন থেকে পুজো অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ বছরও সেখানে দুর্গাপুজো উদযাপনের জন্য প্রতিমা তৈরির কাজ চলছিল। এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে মন্দিরের ছয়টি প্রতিমার মধ্যে দুর্গা ও গণেশ ছাড়া দুটি লক্ষ্মী, একটি কার্তিক ও একটি সরস্বতী প্রতিমা ভাংচুর করা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিজস্ব সংবাদদাতা ঝালকাঠি থেকে জানান, ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের শিমুলিয়া রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন দুর্গা মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর হয়েছে। এই ঘটনা জেলায় প্রতিমা ভাংচুরের দ্বিতীয় ঘটনা। শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার ভোর রাতের মধ্যে কে বা কারা এই মন্দিরে প্রবেশ করে সরস্বতী, কার্ত্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী ও অসুরের প্রতিমার মাথা ভেঙ্গে ফেলে দিয়েছে। শনিবার সকালে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক অশোক কুমার বিশ্বাস ও পুলিশ সুপার মোঃ মজিদ আলীসহ জেলা ও উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জেলা প্রশাসক এই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য এই মন্দিরের অনুকূলে ২ মে. টন চাল এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট খান সাইফুলস্নাহ পনির ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন।
দৈনিক জনকণ্ঠ: ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১১, সূত্রলিংক
No comments:
Post a Comment