সাত সংগঠনের সংবাদ সম্মেলন
সমকাল প্রতিবেদক
প্রস্তাবিত অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ (সংশোধন) আইন গ্রহণযোগ্য করে পাস করতে ছয় দফা সুপারিশ করা হয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের নেতারা এ সুপারিশ করে বলেছেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছে প্রস্তাবিত আইনটি গ্রহণযোগ্য নয়। এটা সংবিধানবিরোধী। আইনটি সংসদে পাস করা হলে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর কোনো উপকারেই আসবে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাতটি সংগঠন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতারা এসব দাবি জানান। তাদের সুপারিশের মধ্যে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী অর্পিত সম্পত্তির সংজ্ঞা নির্ধারণ, রায় অনুযায়ী অর্পিত সম্পত্তির তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ, জেলা পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং ট্রাইব্যুনালে মামলা নিষ্পত্তির তারিখ সুনির্দিষ্টকরণ; নাগরিকের সংজ্ঞায় 'অব্যাহতভাবে বাংলাদেশের নাগরিক হন' বলে যে বিধান আছে তা পরিবর্তন করে 'অব্যাহতভাবে' শব্দটি বাদ এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণের দাবিদার হিসেবে 'সহঅংশীদার', 'একই পরিবারের সদস্য' ও 'সম্প্রদায়ভুক্তদের' অধিকার দিতে হবে।
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, নিজেরা করি, এএলআরডি, ব্লাস্ট, হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনরিটিজ ও মহিলা পরিষদ যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অ্যাডভোকেট তোবারক হোসেন। এ সময় বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, ড. আবুল বারকাত, খুশী কবির, আয়েশা খানম, শামসুল হুদা, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও ফরিদা ইয়াসমীন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৯৭৪ সালের ২৩ মার্চ পর্যন্ত অর্পিত সম্পত্তির যে তালিকা রয়েছে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়। এ তালিকা প্রকাশিত হলে প্রত্যর্পণের দাবিদাররা যেন ট্রাইব্যুনালের কাছে সরাসরি অবমুক্তির দাবি জানাতে পারেন সে জন্য প্রত্যেক জেলায় ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
আইনটি সংসদে পাস করার আগে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নাগরিক, ভুক্তভোগী, বিশেষজ্ঞ, আইনজ্ঞ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার দাবি করা হয়। আইনটি সংখ্যালঘুদের নতুনভাবে হয়রানি করার হাতিয়ারে পরিণত না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখারও আহ্বান জানানো হয়।
সমকাল, ২৭ নভেম্বর, ২০০৯
No comments:
Post a Comment