।। ইত্তেফাক রিপোর্ট ।।
সূত্রাপুরের ঋষিকেশ দাস লেনে হিন্দু পরিবারের বাড়ি দখলের চেষ্টা ও অপহরণের ঘটনার সঙ্গে গ্রেফতারকৃত ৪ জন ছাড়াও আরো ৪ জন জড়িত ছিল। রিমান্ডে থাকা ৪ জন পুলিশের কাছে এ তথ্য দিয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফরমান আলী জানিয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে বাড়ি দখল ও অপহরণের পেছনে শীর্ষ সন্ত্রাসী ডাকাত শহীদের হাত থাকতে পারে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, আত্মগোপনে থাকা আসামিদের গ্রেফতার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুরান ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ডাকাত শহীদের ৮ সহযোগী এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল। তাদের নাম প্রকাশ করেছে রিমান্ডে থাকা আসামিরা। তিনি আরও বলেন, চার মাস আগে বানিয়ানগর এলাকায় এক থেকে চার নম্বর হোল্ডিংয়ের প্রায় ১৫ কাঠা সম্পত্তিতে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য জমির মালিকদের সঙ্গে চুক্তি করে আনন্দ ধারা হাউজিং কোম্পানি। তবে ঐ জায়গাটি গলির ভেতরে হওয়ায় ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের চোখ পড়ে মূল রাস্তার সঙ্গে নিতাই চন্দ্র দাসের তিন কাঠা জায়গার ওপর। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠিয়েও সফল না হওয়ায় হাউজিং কোম্পানি এ অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। আনন্দধারা হাউজিংয়ের পরিচালক আলমগীর খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
আনন্দধারা হাউজিংয়ের পরিচালক আলমগীর খান সাংবাদিকদের জানান, তারা এখনও কোন ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে পারেননি। মূল রাস্তার পাশে নিতাই চন্দ্রদের জায়গাটি থাকায় তারা এটি ব্যবসায়িক কারণে বৈধভাবে প্রদানের অনুরোধ করেছেন। তবে অপহরণের সঙ্গে তাদেরকে ভুল তথ্যের ভিত্তিতে জড়ানো হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
গত ২৩ আগস্ট ইত্তেফাকে ‘সূত্রাপুরে বাড়ি দখলের চেষ্টা, অপহৃত একই পরিবারের ৯ জনকে উদ্ধার’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করেছে আনন্দধারা হাউজিং লিমিটেড। এক প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, সূত্রাপুরের ৯৫, ঋষিকেশ দাস রোডের বাড়ির মালিকের সাথে আনন্দধারা হাউজিংয়ের কোন সম্পৃক্ততা নেই বা কোন ধরনের প্রস্তাব দেয়া হয়নি। গত ২২ আগস্টে অপহরণ ঘটনার সাথে আনন্দধারা হাউজিংয়ের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত নয়।
দৈনিক ইত্তেফাক, ২৫ আগস্ট, ২০০৯
No comments:
Post a Comment