মুন্সীগঞ্জে এক হিন্দু পরিবারের বাড়ি দখল করেছে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগ দলের সন্ত্রাসীরা একটি হিন্দু পরিবারের সহায়-সম্বল লুট করেই খ্যান্ত হয়নি, তাদের মারধর করে ভিটেমাটি থেকেও তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়েছে। মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার কমলা ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। ভিটেমাটি হারিয়ে হিন্দু পরিবারটি প্রাণ বাঁচাতে বর্তমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। স্খানীয় পুলিশের কোনো সহায়তা না পেয়ে আইনের আশ্রয় নিতে ঢাকায় ছুটে এসেছেন পরিবারের সদস্যরা।

ক্ষতিগ্রস্ত এই পরিবারটি বিচারের দাবিতে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববìধন করে। এ সময় তারা সাংবাদিকদের কাছেও হামলাকারী ও দখলবাজ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নাম প্রকাশ করতে ভয় পাচ্ছিলেন।
হামলার শিকার সুনিল চন্দ্র দে অভিযোগ করেন, স্খানীয় আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি দীর্ঘ দিন ধরে তাদের বাড়ি দখলের পাঁয়তারা চালিয়ে আসছিল। তাদের পেছনে সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে থাকে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওই ব্যক্তি আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এরই জেরে গত ২৯ জুন রাত সাড়ে ৯টায় হঠাৎ তার বাড়িতে হানা দেয় স্খানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থক অমর চাঁন সাহা, তপন পাল, ভাগবত পালসহ ৪০-৫০ জনের একদল সন্ত্রাসী। সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ঘরে ঢুকে তাকে এবং তার বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও সন্তানদের মারধর করে। সন্ত্রাসীরা বাসার আলমিরা ভেঙে স্বর্ণালঙ্কার, টাকা ও মূল্যবান মালামাল লুট করে। প্রায় এক ঘন্টা ধরে সন্ত্রাসীরা তাণ্ডব চালালেও প্রতিবেশীদের কেউই ভয়ে এগিয়ে আসার সাহস পাননি। সন্ত্রাসীরা এক পর্যায়ে তাদের মারধর করে রাতের অìধকারে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। থানায় মামলা করলে এবং কারো কাছে আওয়ামী লীগের নাম প্রকাশ করলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়। এ অবস্খায় তিনি আইনের আশ্রয় পেতে পরিবার-পরিজন নিয়ে থানায় ছুটে যান। কিন্তু পুলিশ মামলা না নিয়ে উল্টো তাদের থানা থেকে বের করে দেয়। গভীর রাতে তারা এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নেন। পর দিন তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকায় পালিয়ে আসেন। বর্তমানে সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হুমকির কারণে তিনি এলাকায় যেতে পারছেন না বলে জানান।

দৈনিক নয়াদিগন্ত, ৯ জুলাই, ২০০৯

No comments:

Post a Comment