স্টাফ করেসপন্ডেন্ট। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: হিন্দু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্রের স্বার্থে জাতীয় সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক অভিযোগ করে বলেন,“দেশে সরকার পরিবর্তন হলেও সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয় না। সব সরকারই নির্বাচনের পূর্বে প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তীতে আর খবর রাখেন না।”
তিনি বলেন, “স্বাধীনতা পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি না হওয়ায়, জাতীয় সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের কোন প্রতিনিধিত্ব না থাকার কারণে এবং রাজনৈতিক কারণেই হিন্দু সম্প্রদায় বারবার আক্রান্ত হচ্ছে।”
আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে হিন্দু নির্যাতন নিরোধ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদে ৬০ টি সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থারও দাবি জানায় হিন্দু মহাজোট।
প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের প্রতি বিষোদগার করে তিনি বলেন, বিগত কয়েকদিনে এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মঠ-
মন্দির, প্রতিমা ভাঙচুর, বাড়িঘর ও ব্যাবসা-প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগকারীদেরকে সরকার চিহ্নিত ও গ্রেফতার করতে ব্যার্থ হয়েছে। দেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল একে অন্যের ওপর দোষারোপ করে চলেছে। এর ফলে অপরাধীরা অপরাধ করতে আরো উৎসাহিত হচ্ছে।
সাম্প্রতিক নির্যাতনের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি মামলার রায়ের পরপরই দেশে ব্যাপকভাবে হিন্দু বাড়িঘর মঠ-মন্দিরে হামলা হয়েছে। ভবিষ্যতে অন্য মামলাগুলোর রায় ঘোষণার পর পরই হিন্দুদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্যাতনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সরকারকে এখনই যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই।
দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত থাকলেও হিন্দু নির্যাতন নিয়ে সংসদে কোন আলোচনা নেই। এমনকি এ বিষয়ে সরকার ও বিরোধী দলীয় নেত্রী কোন কার্যকর ভূমিকা রাখছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
একইভাবে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন করার দাবিও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আগামী ১৫দিনের মধ্যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিত করাসহ ক্ষতিগ্রস্থ হিন্দু পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করার দাবি জানানো হয়।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট দিনবন্ধু রায়, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সভাপতি মনোজ কুমার মন্ডল, মহাজোটের যুগ্ম মহাসচিব অরুণ মজুমদার, হিন্দু যুব মহাজোট সভাপতি রিপন দে, হিন্দু ছাত্র মহাজোট সাবেক সভাপতি প্রভাষক বিপুল বিশ্বাস প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৩
এমএন/সম্পাদনা: জনি সাহা, নিউজরুম এডিটর; নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
এখানে যতগুলি নাম এবং পোষ্ট দেখলাম তাতে মনে হয় তাদেরকে সংসদে হিন্দু প্রতিনিধি করে পাঠালে আমাদের কল্যান হলেও ব্যক্তিগতভাবে নেতারা ছোট হয়ে যাবেন ।
ReplyDeleteধন্যবাদ, এমন একটি তথ্য আমাদের সাথে ভাগ কারার জন্য। আমি আপনাকে কোন প্রকার অফার করছি না। আমার মানে হয় এই ছোট তথ্যটি আপনার উপকারে আসতে পারে বাড়ি ভাড়া।
ReplyDelete