স্টাফ রিপোর্টার ॥ সারাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর জামায়াত-শিবিরের হামলা, হত্যা ও লুটপাতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সম্মিলিতভাবে তা প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, জামায়াত-শিবিরের সাম্প্রদায়িক তাণ্ডব যেন স্বাধীনতা যুদ্ধের সেই ভয়ঙ্কর দিনগুলোর কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। সাম্প্রদায়িক হামলাকারীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শান্তির আওতায় আনতে হবে। আর সরকারকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।
শুক্রবার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে এক জরুরী সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ। পরিষদের সভাপতি কানুতোষ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক দুর্গাদাস ভট্টাচার্য, অনিল চন্দ্র নাথ, শৈলেন মজুমদার, পুলিশের আইজি (সমন্বয়ক) ফণীভূষণ চৌধুরী, পরীক্ষিত চৌধুরী, অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, সুব্রত চৌধুরী, জয়ন্ত সেন দীপু, সাবিত্রী ভট্টাচার্য, বাসুদেব ধর, নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, শ্যামল কুমার রায় প্রমুখ। সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ ও ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী শুক্রবার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ও সংলগ্ন গ্রামে সাম্প্রদায়িক হামলারর শিকার সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি ও দুটি মন্দির পরিদর্শন করেন। পরে তাঁরা লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ বাজারে যান, সেখানে বৃহস্পতিবার সোনার দোকানসহ ৪টি দোকানে লুটপাট ও ভাংচুর চালানো হয়।
সাম্প্রদায়িক নির্যাতন-নিপীড়নে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সনাতন ধর্মীয় সম্মিলিত পরিষদের আহ্বায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) জয়ন্ত সেন, অধ্যাপক হীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সদস্য সচিব দিলীপ ভদ্র, অনিল পাল, পরিমল ঘোষ, লায়ন সমীর দত্ত। তাঁরা অভিযোগ করেন, জামায়াত-শিবির ও তাদের দোসররা নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, পিরোজপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের অনেক স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি ও মঠ-মন্দিরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ ঘটিয়ে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক তাণ্ডব চালাচ্ছে। কঠোর হস্তে এ সব তাণ্ডব দমনসহ ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
সূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ। ২ মার্চ ২০১৩। লিঙ্ক
No comments:
Post a Comment