হাটহাজারীতে মন্দির ভাংচুরের ঘটনায় তলব এসপি ও ওসিকে

ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মন্দির ভাংচুরের ঘটনায় ওই থানার ওসিকে তলব করেছে হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপারকেও ডাকা হয়েছে।

রোববার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

গত ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারির ভাংচুরের ওই ঘটনা নিয়ে ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজের সাপ্তাহিক সাময়িকী ‘এক্সট্রায়’ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন নজরে এলে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেয়।

প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী।

আদেশে ওই ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিরা গ্রেপ্তার না হয়ে থাকলে তাদের চিহ্নিত করে পাহারা দিয়ে আদালতে নিয়ে আসতেও পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়ে থাকলেও তাদের নিয়ে আসতে হবে।

আদালত একইসঙ্গে ওই ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে।

তিন সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক, জেলা পুলিশ সুপার, হাটহাজারী থানার ওসিকে রুলের জবাব দিতে হবে।

আদেশের পর সুব্রত চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি হাটহাজারীর ওই ঘটনায় ১৫টি মঠ-মন্দির-আশ্রম, ১২টি দোকান পাট ও ১৫টি বসতবাড়িতে হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

“হাটহাজারী মডেল থানার মাত্র তিনশ গজের মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। থানার এত নিকটে দুই দিন ধরে কীভাবে এত বড় ঘটনা ঘটল, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন,” বলেন তিনি।

আদালতে সরকার পক্ষে ছিলেন ওই কোর্টে কর্তব্যরত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আলতাফ হোসেন।

হাটহাজারীর নন্দীরহাটে গত ৯ ফেব্রুয়ারি লোকনাথ সেবাশ্রমের বার্ষিক উৎসবের শোভযাত্রা একটি মসজিদ অতিক্রমের সময় মুসল্লিদের কথা কাটাকাটির পর সেদিন ও পরদিন বেশ কয়েকটি মন্দির ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ এবং হিন্দুদের বাড়ি ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে লুটপাট হয়।

পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, মসজিদে হামলার গুজব ছড়িয়ে মন্দিরে হামলায় উস্কানি দেওয়া হয়। এতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা জড়িত বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএন/এমআই/১৫৪১ ঘ.

bdnews24.com

No comments:

Post a Comment