স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ মঙ্গলবার রাতে নগরীর পাথরঘাটা জলিলগঞ্জ এলাকায় দুই গ্রুপ যুবকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই ফটো সাংবাদিকসহ ১০/১২ জন আহত হয়েছেন। সংঘবদ্ধ একদল যুবক নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে সংঘর্ষ পুরো পাথরঘাটা এলাকায় ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েকদফা লাঠিচার্জ এবং ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় কিছু দোকানপাট ভাংচুর ও লুটতরাজের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা থেকেই এলাকার কতিপয় বখাটে যুবক দুই পাড়ার আধিপত্যকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ৮টায় ১০/১২ যুবক প্রথমে হাতাহাতি ও পরে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ায় রূপ নিলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকে। সংঘর্ষে জড়িত যুবকদের ইটপাটকেল নিক্ষেপে ওই এলাকার মসজিদ ও মন্দিরের ক্ষতি সাধিত হলে সর্বস্তরের লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে যায়। এর আগে দুই পাড়ার যুবকদের মধ্যে সংঘর্ষে পুরো পাথরঘাটা এলাকায় বিস্তৃতি ঘটতে থাকে। কোতোয়ালি থানা থেকে কয়েক শ' গজ দূরে এ ঘটনা ঘটতে থাকলেও পুলিশ যথাসময়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। কিন্তু বিক্ষুব্ধ যুবকদের মধ্যে সংঘর্ষ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের তৎপরতা শুরু হয়। এর আগেই বিক্ষুব্ধ যুবকরা পাথরঘাটার জলিলগঞ্জ, বা-েল রোড, বংশাল রোড, ক্যাথলিক ক্লাব এলাকার কিছু দোকানপাট ভাংচুর ও লুটতরাজের ঘটনা ঘটায়। এ সময় পাশে ঘটনার খবর পেয়ে টিভি মিডিয়ার ক্যামেরাম্যান ও ফটো সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে বিক্ষুব্ধ যুবকরা তাদের ওপরও এলোপাতাড়ি হামলা করে। এতে ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি মিডিয়ার ক্যামেরাম্যান সাজিদ হাসান ও বাংলা নিউজের ফটো সাংবাদিক উজ্জ্বল ধর ইটের আঘাতে আহত হন। এ ছাড়া আরও ১০/১২ যুবক আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে এলাকার বিদ্যুত সরবরাহও বন্ধ করে দেয়া হয়। সংঘর্ষ নিয়ে সামপ্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও গুজবের আশঙ্কায় রাত ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিপুলসংখ্যক র্যাব-পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দাঙ্গা পুলিশও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি এবং লাঠিচার্জ করে।
দৈনিক জনকণ্ঠ, ১২/১০/১১। লিংক
No comments:
Post a Comment