জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ পুজোমণ্ডপে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াত নেতাসহ ছাত্রশিবির ও হিযবুত তাওহীদের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও ব়্যাব। শুক্রবার শনিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী থেকে জানান, চারঘাট উপজেলা সদরের একটি পুজোমণ্ডপে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জামায়াত শিবির ও হিযবুত তাওহীদের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে রাজশাহী ব়্যাবের রেলওয়ে কলোনি ক্যাম্পের সদস্যরা উপজেলা সদরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, চারঘাট উপজেলা হিযবুত তাওহীদের আমীর মানিক ওরফে রতন, সদস্য আব্দুল বাছেদ, পৌর শাখা জামায়াতের সাবেক সভাপতি মমতাজ হোসেন ও ছাত্রশিবির কর্মী কাউসার আলী। র্যাব সূত্র জানায় উপজেলা সদর, মেরামতপুর, ঝিকড়া ও নন্দনগাছি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, শুক্রবার গভীর রাতে চারঘাট উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় পুজামণ্ডপে অগ্নিসংযোগ ও প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শনিবার সকালে চারঘাট থানায় মামলা দায়েরের পর ব়্যাব সদস্যরা অভিযানে নামে। ব়্যাব সদস্যরা পুজোমণ্ডপে অগ্নিসংযোগ ও প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে তাদের গ্রেফতার করে। তাদের চারঘাট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ থেকে জানান, এনায়েতপুরের গোপীনাথপুর গ্রামের দুর্গা মন্দিরের ৫টি প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় জামায়াত নেতাসহ ২ জনকে পুলিশ আটক করেছে। এরা হচ্ছে বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা আলহাজ খন্দকার রফিক উল্লাহ এবং গোপীনাথপুর গ্রামের সোহরাব আলী (৫৫)। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এনায়েতপুর থানার গোপীনাথপুর গ্রামের পুজোমণ্ডপে মৌলবাদী সন্ত্রাসীরা ৫টি প্রতিমা ভাংচুর করে।
মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুধারাম রায় জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১টা পর্যন্ত মন্দিরে প্রতিমা সাজসজ্জার কাজ করে তারা সবাই বাড়িতে যান। গভীর রাতে মন্দিরে ঢুকে দুর্গা, কার্তিক, সরস্বতী, লক্ষ্মী ও শ্রী হরিশ চন্দ্র প্রতিমার মাথা ভেঙ্গে রেখে যায়। শুক্রবার সকালে মন্দিরে এসে তারা প্রতিমাগুলো ভাঙ্গা অবস্থায় দেখতে পান।
সংবাদ পেয়ে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে সিরাজগঞ্জ পুজো উদযাপন পরিষদের সন্তোষ কুমার কানু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
জেলা প্রশাসক মোঃ আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ ভট্টাচার্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
দৈনিক জনকণ্ঠ, ২ অক্টোবর ২০১১। লিংক
No comments:
Post a Comment