স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥
খুলনা মহানগরীর প্রাণকেন্দ্রে আর্য্য ধর্মসভা মন্দির প্রাঙ্গণে সাহেবের কবরখানা পুজো কমিটির নির্মাণাধীন দুর্গা প্রতিমাসহ কয়েকটি প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কে বা কারা আসন্ন দুর্গা পুজো উপলৰে নির্মিতব্য এ প্রতিমা ভাংচুর করে। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মন্দির কমিটি ও পুজো উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
খুলনা মহানগরীর সিমেট্রি রোডের সাহেবের কবরখানা পুজো কমিটির সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক, মহানগর পুজো উদযাপন পরিষদের সহসভাপতি বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ জানান, আসন্ন দুর্গা পুজো উপলৰে প্রতিমা তৈরি করার মতো প্রয়োজনীয় স্থান না থাকায় সাহেবের কবরখানা পুজো কমিটির প্রতিমাগুলো আর্য্য ধর্মসভা মন্দির প্রাঙ্গণে ওই কমিটির কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় নির্মাণ করা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কবরখানা পুজো কমিটির নেতৃবৃন্দ ধর্মসভা মন্দিরে গিয়ে তাদের নির্মিতব্য প্রতিমা পরিদর্শন করে আসেন। এর পর আর্য্য ধর্মসভা মন্দিরের গেট বন্ধ করে সংশিস্নষ্টরা চলে যান। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে কমিটির লোকেরা গিয়ে প্রতিমা ঢেকে দেয়া ত্রিপল উঁচিয়ে দেখতে পান দেবী দুর্গার বাম পাশের দুটি হাত, লৰীর বাম হাত, গণেশের শুঁড় এবং অসুরের মাথা ভাঙ্গা।
কেন্দ্রীয় পুজো উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা শ্যামল হালদার বলেন, খবর পেয়ে নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। ন্যক্কারজনক এ ঘটনায় তারা উদ্বিগ্ন। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার ও শাসত্মি দাবি করেন।
নিজস্ব সংবাদদাতা ভোলা থেকে জানান, ভোলার লালমোহন উপজেলার লর্ড হার্ডিঞ্জ এলাকার শারদীয় পুজো মণ্ডপে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে কয়েকটি প্রতিমা ভাংচুর করেছে। এ ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়দের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার সকালে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ জামাল হোসেন ও তৈয়ব নামের ২ জনকে আটক করে। এদিকে ভোলার সংসদ সদস্য নুরন্নবী চৌধুরী শাওন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই মণ্ডপে ১০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। এ ছাড়া প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার পাশাপাশি পুজো মণ্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে চরপ্যায়ারী মোহন পুজো মণ্ডপের পরিচালক তপন কুমার দাস সাংবাদিকদের জনান, প্রতিমা ভাংচুর করায় আমাদের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুনরায় প্রতিমা তৈরি করে পুজো চালানো সম্ভব হবে না। এ ঘটনায় আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
দৈনিক জনকণ্ঠ, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১১
No comments:
Post a Comment