নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার স্কুলছাত্রী সংখ্যালঘু চন্দ্রিমা প্রামাণিক সেতুকে (১৬) অপহরণ করেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। পুলিশ ব্র্যাক কর্মী জাহাঙ্গীর হোসেন জেমসকে গ্রেফতার করলেও ঘটনার মূল হোতা ২ সন্তানের জনক হৃদয় রেজওয়ান জনিকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। উদ্ধার করতে পারেনি অপহৃত চন্দ্রিমা প্রামাণিক সেতুকেও। অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনে অপহৃতের পরিবারকে নানা হুমকি অব্যাহত রেখেছে।
নিয়ামতপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্র্রেণীর ছাত্রী ও ভাবিচা গ্রামের গুরুদাস চন্দ্র প্রামাণিকের (শ্যামল) কন্যা চন্দ্রিমা প্রামাণিক সেতু বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রাইভেট পড়তে যাবার সময় জনির নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তাকে অপহরণ করে। তাদের সহায়তা করে স্থানীয় ব্র্যাককর্মী জাহাঙ্গীর হোসেন জেমস। অপহৃত সেতুর পারিবারিক সূত্র জানায়, ঘটনার পর থেকে অপহরণকারীরা ০১৭১৭-৮৬৪৩৬৮, ০১৯১৩-৬৭৩০৮৩ সহ বেশকটি মোবাইল ফোন থেকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য অপহৃতের পিতাকে হুমকি দিচ্ছে। শনিবার রাত ১টা ৪৬ মিনিটে ০১৫৫৭০০৫৩৭৫ নম্বর মোবাইল থেকে অপহৃত সেতুকে তার বাবার সঙ্গে কথা বলিয়ে দেয়। এসময় সেতু ভীত সন্ত্রস্ত ও কান্নাজড়িত কণ্ঠে তার পিতাকে জানায়, তোমরা আইনের আশ্রয় নিলে ওরা আমাকে জবাই করে তোমাদের কাছে লাশ পাঠিয়ে দিবে। তাকে আর কিছু বলতে দেয়া হয়নি। এই ঘটনার পর অপহৃত সেতুর পরিবারসহ এলাকার সংখ্যালঘুদের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
নিয়ামতপুর থানার ওসি শহীদ সোহরাওয়ার্দী জানান, দুই সন্তানের জনক বহু নারী কেলেঙ্কারি, ব্ল্যাকমেইল ও পাচারকারী দলের সদস্য হৃদয় রেজওয়ান জনি ঝিনাইদহ জেলা সদরের হামদা খন্দকার পাড়ার ২৯নং সড়কের ৪১নং বাড়ির ইসমাইল রেজওয়ানের পুত্র।
দৈনিক জনকণ্ঠ
অপহৃতা সেতুর পরিবারকে সমবেদনা জানাই।
ReplyDelete