০ খসড়া নীতিমালা জমা দেয়া হয়েছে
০ মোশতাক আহমদ
সরকার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আদলে দেশে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। এলক্ষ্যে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা গত ৮ ফেব্রুয়ারি ধর্ম মন্ত্রণালয়ে পেশ করা হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয় নীতিমালাটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে পর্যালোচনা করে মন্ত্রিসভায় পাঠাবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে এটিকে পূর্ণাঙ্গ আইনে পরিণত কারার জন্য জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পেশ করা হবে। ফাউন্ডেশন গঠিত হলে প্রতিটি জেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মত হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ফাউন্ডেশনেরও পৃথক অফিস স্থাপন করা হবে। এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের কৃষ্টি সংস্কৃতি রক্ষার পাশাপাশি উন্নত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। বর্তমানে হিন্দু সম্প্রদায়ের কল্যাণের জন্য হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৮৩ সালে ৬৮নং অধ্যাদেশ বলে ট্রাস্ট গঠিত হয়। হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে বিগত শারদীয় দুর্গা পূজার সময় এক কোটি টাকা বিতরণ করা হয়। যার পরিমাণ আগে ছিল মাত্র ৩০ লাখ টাকা। সম্প্রতি ট্রাস্টের কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির জন্য ট্রাস্টের স্থায়ী আমানতের পরিমাণ চার কোটি টাকা বৃদ্ধি করে ১২ কোটি থেকে ১৬ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল ইউএএফপিএর সহায়তায় মানব সম্পদ উন্নয়নে হিন্দু ধর্মীয় নেতাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে। দেশের মঠ মন্দির আশ্রমের সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য গত ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে সরকার হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ৮০ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করে। ২০০৯-১০ অর্থ বছরে এ অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়ে ৯৮ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের শিশু ছেলে-মেয়েদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে বর্তমানে দেশের ৩২টি জেলায় হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমান প্রতিমন্ত্রীর পদ মর্যাদায় দায়িত্ব প্রাপ্ত হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান মানিক লাল সমদ্দার বলেন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক কল্যাণমূলক কাজ বাস্তবায়ন করা যায় না। ফাউন্ডেশন বাস্তবায়িত হলে এটি সরকারের রাজস্ব বাজেটের অর্থ দ্বারা পরিচালিত হবে এবং এ ফাউন্ডেশন হিন্দু সম্প্রদায়ের কৃষ্টি কালচার রক্ষা ও মানব কল্যাণে ব্যাপক অবদান রাখবে। তিনি সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
ইত্তেফাক, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১০
Joy Hindu
ReplyDeleteআটলাণ্টিক সিটি নিউজার্সীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের “উপসনালয়ের” শুভ উদ্বোধন
ReplyDeleteআটলাণ্টিক সিটি নিউজার্সী থেকে এবিএম নিউজ: গত ৬ জুন ২০১১ সোমবার শ্রী শ্রী গীতা সংঘ আটলাণ্টিক সিটি নিউজার্সী সহযোগিতায় আটলাণ্টিক সিটির ১০৯ নর্থ ফ্লোরিডা এভিনিউতে হিন্দু সম্প্রদায়ের নবনির্মিত “উপসনালয়ের” শুভ উদ্বোধন করেন শ্রী যুক্ত বাবু রমেশ নাথ । উদ্বোধনী অনুষ্টানের পর আয়োজিত ধর্মসভায় পবিত্র বেদ ও গীতার বানী বিশ্লেষন করেন সূদুর ভারত থেকে আগত শ্রী পবিত্রানন্দ ব্রহ্মচারী এবং নিউইয়র্ক থেকে আগত জগদীশ ব্রহ্মচারী শাস্ত্রী । ধর্মসভায় বক্তব্য রাখেন তাপস দাশ ও প্রদীপ দে । এছাড়াও ধর্মসভায় আরো বক্তব্য রাখেন শ্রী শ্রী গীতা সংঘ আটলাণ্টিক সিটি, নিউজার্সীর বর্তমান সভাপতি শ্যামল রয় এবং সাধারন সম্পাদক শ্যামল চক্রবর্তী ।ট্রাষ্টি বোর্ডের পক্ষ থেকে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন সুরজিত চৌধুরী মিলটন । গীতা সংঘের ভক্তবৃন্দ কর্তক পরিবেশিত ধর্মীয় সংগীত ও নাম কীর্তনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্টানের সফল সমাপ্তি ঘটে । অনুষ্টান পরিচালনায় ছিলেন উওম দাশ ।আটলাণ্টিক সিটিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের এই “ধর্মীয় উপসনালয়” শুভ উদ্বোধনের মাধ্যমে নিউজার্সীতে বসবাসরত বাংলাদেশী হিন্দু সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের মনের আশা পূরন হওয়ার পাশাপাশি ধর্মীয় কার্যাদি সম্পাদনের সুযোগ তৈরী হল ।
Joy Hindu