কালী মন্দিরের জমি দখলকে কেন্দ্র করে নাটোরের গুরুদাসপুরে পুলিশ ও ভূমিদস্যু মিলে চড়াও হয়েছে স্থানীয় সংখ্যালঘু নারী-পুরুষের ওপর। তাদের ভারতে পাঠিয়ে দেবার হুমকিও দেয়া হয়েছে। ওই জমি দখলে বাধা দিলে গত বছর ১৯ জানুয়ারি পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয় সুপালচন্দ্র দাসকে। পুলিশ আজ পর্যন্ত ওই হত্যা মামলার তদন্ত করেনি। চার্জশীটও দেয়নি। হত্যা মামলার দুই আসামি সাইফুল ও হাফিজুলকে গ্রেফতার করে তারা তাদের দায় সারে। সম্প্রতি ওই দুই আসামি জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় এসে হত্যা মামলার সাক্ষী গোপালের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
মন্দিরের জমি দখল চেষ্টায় পুলিশী যোগসাজশের অভিযোগ
জামিনে মুক্ত হতে তাদের নাকি এক লাখ টাকা খরচ হয়েছে। স্থানীয় প্রধানদের কাছে নালিশ করেও সাইফুল, হাফিজুলদের ঠেকাতে পারেনি গোপালচন্দ্র দাস। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর দায়ে গত ১ ডিসেম্বর সাইফুলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী লাঠি, হাঁসুয়া, ছোরা, লোহার রড, রামদা ইত্যাদি দেশী অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চড়াও হয় সংখ্যালঘু পাড়ায়। বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট শেষে তারা বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দিয়ে গেছে। তাদের হামলায় আহত হয়েছে ১০ নারী-পুরুষ-শিশু। গুরুতর আহত সুমিতা রানী, নিরঞ্জন ও সুশীলকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দৈনিক জনকণ্ঠ, ৫ ডিসেম্বর, ২০০৮
No comments:
Post a Comment