র্যাবের একটি রিপোর্টের জের: সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে আতঙ্ক, সচেতন মহলে বিস্ময়
চট্টগ্রামের পটিয়ার আলামপুরের নন্দারামপাড়ার সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দেয়া র্যাবের একটি রিপোর্টে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সচেতন নাগরিক মহলে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে। বিশেষ করে বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. দিলীপ দে'কে দোষী সাব্যস্ত করে যে রিপোর্ট দেয়া হয়েছে তাতে হতবাক হয়েছেন চট্টগ্রামের অনেক বিশিষ্ট নাগরিক। শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে রিপোর্টটি পুনর্বিবেচনার জন্য দাবি জানানো হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জামাল নজরুল ইসলাম, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন, আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান খান কায়সার, সাংবাদিক কবি অরুণ দাশগুপ্ত, সাংবাদিক আবুল মোমেন, এ্যাডভোকেট অরুণ দত্ত, এ্যাডবোকেট মফিজুর রহমান, এ্যাডভোকেট অরুণ দত্ত, এ্যাডভোকেট শৈবাল সেন, পূজা উদযাপন পরিষদ নেতা এ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার, রাখাল দাশগুপ্ত প্রমুখ। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আলামপুর নান্দারাম সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাদল দে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জায়গা-জমিসংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় র্যাব সদস্য এ এস আই শাহজাহান যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে। তাঁরা বলেন, এতে অহেতুক অপরাধমূলক ভীতি ও চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রিপোর্টে আলামপুরের নন্দারামপাড়ার হিন্দু মহিলাদের ডাক্তার দিলীপ দে'র নির্দেশে এএসআই শাহজাহানের পিতা বদিউল আলমের ওপর আকমণ চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে এবং ডা. দিলীপ দে'র বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়কে ইন্ধন দেয়া এবং উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। রিপের্টে আনীত এ অভিযোগ মোটেও সঠিক নয় বলে সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করা হয়।
জনাকীর্ণ এ সংবাদ সম্মেলনে ড. জামাল নজরুল ইসলাম বলেন, ডা. দিলীপ দে'কে আমি যে রকম মানুষ হিসেবে জানি, তাতে তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অবিশ্বাস্য তাছাড়া যে কোন অঞ্চলে কারোরই আতঙ্কে থাকা উচিত নয়। যদি তেমন হয়, তবে তা হবে দুঃখজনক। সাংবাদিক আবুল মোমেন বলেন, ডা. দিলীপ দে'র জন্য বিষয়টি অসহনীয় পর্যায়ে পৌছে গেছে বলেই তিনি নিরুপায় হয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আহ্বান করেছেন।
জনকণ্ঠ, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮
No comments:
Post a Comment