কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অবশেষে মামলা তদন্ত কমিটি গঠন

বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার চেয়ারম্যান হিন্দু নারী ধর্ষক এস এম মাহফিজুর রহমান
কচুয়া উপজেলার চেয়ারম্যান এস এম মাহফিজুর রহমান
খুলনানিউজ.কম:: বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্ভমহানির শিকার হয়ে অবশেষে প্রান বাঁচাতে স্বমী-সন্তানসহ সংখ্যালঘু একটি পরিবার ভিটেমাটি ফেলে রাতারাতি অন্যত্র চলে যাবার চাঞ্চল্যকর সংবাদ প্রকাশের পর ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম মাহফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার ১৬ দিন পর কচুয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শুকুর আলী শেখ বাদী হয়ে কচুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে, শুক্রবার কচুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের এক জরুরী সভা অনুষ্টিত হয়েছে।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও আ’লীগ নেতা হাজরা দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত এ সভায় উল্লেখিত ঘটনা তদন্তে ৫-সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গোপালপুর আ’লীগের সভাপতি এ্যাড: ভবরঞ্জন মজুমদারকে আহবায়ক করে গঠিত এ কমিটির অপর সদস্যরা হলেন, আলহাজ্জ ইলিয়াছ কোটাল, মুক্তিযোদ্ধা ফজর আলী, শেখ ছোহরাব হোসেন ও হাজরা রেজা সেলিম।

আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এ কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে বলে জানাগেছে। 
এদিকে, এ মামলা দায়েরের পর কচুয়া থানা পুলিশ কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম মাহফুজুর রহমানকে আটক করতে পারেনি।

মামলার বাদী তার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেছে, কমলেশের পরিবারের সাথে তার দীর্ঘ দিনের সুসম্পর্ক থাকায় ঘটনার পর তাদের বাড়িতে গিয়ে খোজ-খবর নেন। কমলেশের বৃদ্ধা মা শোভা রানী তাকে বর্বরোচিত ঘটনা প্রকাশ করেন। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে মামলা করার মত কেউ না থাকায় তিনি ওই পরিবারের ঘনিষ্টজন হিসাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জি জি বিশ্বাস জানান, কচুয়া উপজেলার রাড়ীপাড়া ইউনিয়নের চরকাঠির দাসপাড়া এলাকার ঔষধ ব্যবসায়ী কমলেশ দাসের বাড়িতে গিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান গত ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কমলেশের স্ত্রীর(২৭) সম্ভ্রমহানি ঘটায়। এরপর ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্বামী, সন্তানসহ নিরুদ্দেশে বাধ্য করে।

মামলার পর আসামীকে আটকের জন্য কয়েক দফা অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে এঘটনার প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা পুজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু বৈদ্য খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ বিক্ষোভ-মানববন্ধন করছে।

তবে অসমর্থিত একটি সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি মিথ্যা প্রমানের জন্য কমলেশ পরিবারকে জোর করে এনে সাংবাদিক সন্মেলন করানোর চেষ্ট করা হচ্ছে।

// মোঃ কামরুজ্জামান, বাগেরহাট: ০৪-০১-২০১৩ //
সূত্র: খুলনা নিউজ। লিংক

No comments:

Post a Comment