অর্পিত সম্পত্তি ফেরত পেতে এ দেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে

আনন্দবাজারের সংবাদের কোন ভিত্তি নেই
ফিরোজ মান্না ॥ যুদ্ধ বিগ্রহের ফসল হচ্ছে অর্পিত সম্পত্তি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে অর্পিত সম্পত্তি আইনের গোড়াপত্তন ঘটে। এরপর থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অর্পিত সম্পত্তির বিষয়টি চলে আসছে। দেশে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন পাস হওয়ার পর জমির মালিকানা নিয়ে তৈরি হচ্ছে নানা জটিলতা। নতুন সংশোধনীতে এমন জটিলতা দেখা দিয়েছে। যাঁরা সম্পত্তি ফেলে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন তাঁরা বা তাঁদের উত্তরাধিকারীরা জমি ফেরতের দাবি তুলেছেন। জমি ফেরত দিতে জেলায় জেলায় ট্রাইব্যুনাল ও কমিটি গঠন করা হবে। প্রকৃত মালিকই জমি ফেরত পাবেন। ভূমি প্রতিমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান জনকণ্ঠকে জানান, ‘ক’ তফসিলভুক্ত যে সম্পত্তি সরকার বিভিন্ন সময় লিজ দেয় এই সম্পত্তিগুলোর মূল মালিকের উত্তরাধিকারীরা পাবেন। তবে তাঁদের এই দেশের নাগরিক হতে হবে। তাঁদের চৌকিদারী ও হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে হবে। সম্পত্তির মালিকানা স্বত্বের প্রমাণাদি উপস্থাপন করলেই তিনি সম্পত্তি ফিরে পাবেন। এর বাইরে সম্পত্তি পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। ভারতীয় প্রতিনিধিদল দেশে আসতে পারে। তাঁরা এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারেন। এ নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কোন মাথা ব্যথা নেই। আলোচনা হলে হবে সরকারের সঙ্গে। মন্ত্রণালয় অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে আইনের আওতায় কাজ করবে।

সম্প্রতি আনন্দবাজারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন নিয়ে দেশে রীতিমতো হৈচৈ পড়ে গেছে। এতে বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ ও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আনন্দবাজারে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশভাগের সময় ভারতে চলে যাওয়া হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার জন্য আগামী মাসে বাংলাদেশে আসবেন। বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন’ করায় এসব জমির দাবিদারদের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময় দিলে তাঁর সঙ্গেও দেখা করতে চান। সম্পত্তি ফেরত সংক্রান্ত বিষয়টি দেখাশোনার জন্য আন্তর্জাতিক একটি সলিসিটর ফার্মের সঙ্গে কথাবার্তাও বলেছে। বাংলাদেশে দখল হয়ে যাওয়া সম্পত্তির দাবিদারদের সংগঠন ‘সোসাইটি অব এনিমি এ্যান্ড ইভাকুই প্রপার্টিজ ইন বাংলাদেশ’-এর সম্পাদক শচীপতি মৈত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার এমন খবর দিয়েছে। দীর্ঘ আন্দোলনের পর এই প্রথম তারা হিন্দুদের দখল হয়ে যাওয়া সম্পত্তি ফেরতের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সাড়া পেয়েছেন। তাদের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি নিয়ে দরবার করবেন।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে শচীপতি মৈত্র আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক অনেক ঘনিষ্ঠ হয়েছে। দেশ ভাগের সময়ে প্রাণের দায়ে সম্পত্তি ফেলে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন এমন অনেক পরিবার ভারতে রয়েছে। তারা সে সম্পত্তি ফিরে পেলে দু’দেশের সম্পর্ক আরও ভাল হবে। শচীপতি মৈত্রের দেয়া তথ্যমতে, পশ্চিমবঙ্গের বহু বিশিষ্ট মানুষের পারিবারিক সম্পত্তি বাংলাদেশে দখল হয়ে রয়েছে। শোভাবাজারের রাজবাড়ির এমন প্রায় ৩ লাখ বিঘা জমি রয়েছে কুমিল্লায়। পাবনায় সুচিত্রা সেনের বাড়ি ও জমির একাংশ দখলমুক্ত করতে বাংলাদেশ সরকার সচেষ্ট হলেও এ জেলাতেই ঋত্বিক ঘটক-মহাশ্বেতা দেবীদের বহু সম্পত্তি দখলদারদের কবলে রয়েছে। দখল হয়ে আছে রাজশাহীতে রঞ্জিত মল্লিক, ময়মনসিংহে সত্যজিৎ রায়, স্নেহাংশু কান্ত আচার্য, বরিশালে মাধবী মুখোপাধ্যায়, ফরিদপুরে মৃণাল সেনের পারিবারিক বহু সম্পত্তি। সম্পত্তি ফিরে পেতে হলে কি করতে হবে তার একটি নির্দেশিকাও দিয়েছে আনন্দবাজার। তারা লিখেছে, আগে জানুন আপনার বাড়ি-জমি ‘ক’ না ‘খ’ তালিকায় রয়েছে। (সরকারের দখলে থাকা অর্পিত সম্পত্তি ‘ক’ তালিকায় এবং বেসরকারী দখলে থাকা অর্পিত সম্পত্তির বিবরণ রয়েছে ‘খ’ তালিকায়।) ‘ক’ তালিকায় থাকলে জেলা ট্রাইব্যুনাল এবং ‘খ’ তালিকায় থাকলে জেলা কমিটির কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে হবে গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে। তবে সময়সীমা আরও ৩০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে মন্ত্রিসভা। আবেদনের শেষ তারিখের ১২০ দিনের মধ্যে জেলা ট্রাইব্যুনাল বা জেলা কমিটি আবেদন যাচাই, শুনানি ও তদন্ত করে জেলা প্রশাসকের কাছে সুপারিশ পাঠাবে। জেলা প্রশাসক ৩০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবেন। সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হলে ৬০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আবেদন করতে পারেন। কেন্দ্রীয় কমিটি ১২০ দিনের মধ্যে শুনানি শেষ করে সিদ্ধান্ত জানাবে। সে সিদ্ধান্তও মনঃপূত না হলে আপীল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা যাবে। সে রায়ও সন্তোষজনক না হলে সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগে যাওয়া যাবে। আবেদনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলে বা দাবি বাতিল হলে অর্পিত সম্পত্তি সরকারী সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে। সেই জমি বিক্রি বা ভাড়ার ক্ষেত্রে আগের ভোগদখলকারীই অগ্রাধিকার পাবেন।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, অর্পিত সম্পত্তির বিষয়টি গোড়া থেকে দেখতে হবে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ভারতবর্ষে জার্মানিদের সম্পত্তি অর্পিত করা হয়। জার্মান স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্রিটিশ সরকার ১৯১৬ সালে ‘দি এনিমি ট্রেডিং এ্যাক্ট’ প্রবর্তন করে। এই আইনে জার্মান স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি অর্পিত সম্পতি হিসেবে সরকারের হতে ন্যস্ত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আগে জার্মান মিশনারি সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৯৩৯ সালে ‘দি এনিমি মিশনারি এ্যাক্ট’ নামে আরও একটি আইন প্রণয়ন করা হয়। একই সালে যুদ্ধ শুরু হলে তখন ভারতবর্ষে ‘দি ডিফেন্স অব ইন্ডিয়া এ্যাক্ট’ জারি করে এর আওতায় ‘দি ডিফেন্স অব ইন্ডিয়া রুলস‘ প্রবর্তন করে সরকারের হাতে এই সম্পত্তি নিয়ে নেয়। ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সুবিধাভোগী হিসেবে তদানীন্তন পূর্ব বাংলার হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি সচ্ছল শ্রেণীর উন্মেষ ঘটে। যারা দেশ বিভাগের আগে থেকেই কলকাতায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেন। মধ্যস্বত্বভোগী এসব জমিদার তালুকদার ১৯৫০ সালে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনে তাদের সংজ্ঞায়িত করা হয়। ১৯৫০ সালে এদের সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ। এর মধ্যে ২০ লাখই ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পরও উন্নত ভবিষ্যতের আশায় তাঁরা কলকাতায়ই থেকে যান।
ওই কর্মকর্তা বলেন, দেশ বিভাগের পর সৃষ্ট সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় (১৯৪৬-৪৭) আক্রান্ত হয়ে আত্মরক্ষার্থে অনেক হিন্দু পরিবার পরিজন নিয়ে সহায় সম্পদ এ দেশে ফেলে ভারতে পাড়ি জমান। এ সব বাস্তুত্যাগীর সহায় সম্পদ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ভারত-পকিস্তান সরকারের মধ্যে (১২-১২-১৯৪৮ তারিখে) ‘দিল্লী এগ্রিমেন্ট’ স্বাক্ষরিত হয়। এই এগ্রিমেন্টের শর্তানুযায়ী বাস্তুত্যাগীদের স্বার্থ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ১৯৪৯ সালে ‘দি ইস্ট বেঙ্গল ইভাকিউস এ্যাক্ট’ পাস করা হয়। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চরম আকার ধারণ করলে দেশ ত্যাগের হিড়িক পড়ে যায়। পরিস্থিতি মোকাবেলা (৮-৪-১৯৫০) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর হয়। এই এগ্রিমেন্টের খ(৪) শর্তানুযায়ী বাস্তুত্যাগীদের সম্পত্তি হেফাজতের জন্য ১৯৫১ সালে ‘দি ইস্ট বেঙ্গল ইভাকিউ প্রোপার্টি এ্যাক্ট প্রণীত হয়। ১৯৬৪ সালে (১-১-১৯৬৪ থেকে ১২-২-১৯৬৪) গণ উপদ্রব (সিভিল ডিস্টার্বেঞ্চ) কারণে জীবন ও নিরাপত্তার অভাবে হিন্দু সম্পদায় সহায় সম্পদ ফেলে দেশ ত্যাগ করেন। তাঁরা তখন পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরায় আশ্রয় নেন। তখন সমাজের এক শ্রেণীর মানুষ হিন্দুদের ফেলে যাওয়া সম্পত্তি ভোগ দখলে নেয়। পরবর্তীতে জাল দলিলের মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করেন। গণহারে সংখ্যালঘুদের দেশ ত্যাগের প্রবণতা রোধ এবং পরিত্যক্ত সম্পত্তি ভূমিদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সরকার ১৯৬৪ সালে ‘দি ইস্ট পাকিস্তান ডিস্টার্ব পার্সন অর্ডিন্যান্স‘ জারি করা হয়। এই আইনের অধীনে হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার জন্য সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসকদের দায়িত্ব দেয়া হয়। উল্লিখিত আইনসমূহ বহাল ও বলবৎ থাকা অবস্থায় ১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পাক-ভারত যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সারা পাকিস্তানে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল। তখন সরকার ডিফেন্স অব পাকিস্তান অর্ডিন্যান্স প্রবর্তন করে।

জানা গেছে, ১৯৫১ সালে ইভাকিউ সম্পত্তি, ১৯৬৫ সালে প্রতিরক্ষা বিধি জারির পর তা এনিমি প্রোপার্টিতে রূপান্তরিত হয়। আবার ১৯৬৪ সালের ডিস্টার্ব পার্সন প্রোপার্টি অন্তর্ভুক্ত হয়। প্রতিটি আইনই প্রণয়ন করা হয়েছিল দেশত্যাগীদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্যই। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে ‘দি ভেস্টেট এন্ড নন রেসিডেন্ট প্রোপার্টি এ্যাক্ট প্রণয়ন করেন। এই আইনের ২ ধারায় অর্পিত সম্পত্তি সজ্ঞায়িত করা হয়েছে। ১৯৭৪ সালের ওই আইনে সর্বপ্রথম সরকারে ন্যস্তকৃত শত্রু সম্পত্তিকে ‘অর্পিত সম্পত্তি’ নামকরণ করা হয়। কিন্তু আইনটি ১৯৭৬ সালে অর্ডিন্যান্স জারি করে বাতিল করে দেয়া হয়। ফলে অর্পিত সম্পত্তি বাতিল হয়ে আবার তা শত্রু নামে ফিরে আসে। ৭৬ সালের সংশোধনীতে অর্পিত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ও হস্তান্তরের সকল প্রকার দায় দায়িত্ব তত্ত্বাবধায়কের পরিবর্তে সরকারের ওপর ন্যস্ত হয়।

নতুন সংশোধনীতে জমি অবমুক্তির সিদ্ধান্তের জন্য যে সব বিষয় বিবেচনা করতে হবে তার একটি বিবরণ ১০ ধারার (৭) উপধারায় রয়েছে। এই উপধারা অনুযায়ী সুপারিশ বা রায় লিখিত হবে। গেজেটে প্রকাশিত পূর্বে ‘ক’ তফসিল বা ‘খ’ তফসিলের তালিকা প্রস্তুতের সময় সতর্কতার সঙ্গে তালিকায় উল্লিখিত ব্যক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর এবং জমির পরিমাণে অবশ্যই সামঞ্জস্য থাকতে হবে। তা না হলে ভুল তথ্য পরিবেশনের কারণে খতিয়ান, দাগ বা জমির পরিমাণ ভুল বা গড়মিল থাকলে জমি বেহাত হতে পারে।

সূত্র জানিয়েছে, অর্পিত সম্পত্তি শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে একমাত্র মানদ- হলো তালিকায় উল্লিখিত ব্যক্তি (১৬,২,১৯৬৯) এর আগে ভারতে চলে গিয়েছেন বা অবস্থান করেছিলেন কিনা। এই বিষয়টি নিশ্চিত হবার জন্য যে সব তথ্য ও কাগজপত্রাদি সহায়ক তা হলো, ১৯৬৯ সালের পূর্বে প্রকাশিত ভোটার লিস্ট, চৌকিদারী ট্যাক্স, পৌরকর, হোল্ডিং ট্যাক্স, ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত পরিশোধিত খাজনার দাখিলা, ১৯৬২-১৯৬৯ সালের মধ্যে ২ নং রেজিস্ট্রার দৃষ্টে সংশ্লিষ্ট হোল্ডিংয়ের বিবরণী, ১০/১/১৯৬৪ থেকে ১৬/২/১৯৬৯ সালের মধ্যে হস্তান্তরকৃত দলিলের ক্ষেত্রে ১৯৬৪ সালের ১ নং অধ্যাদেশ অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুমতিপত্র, সিএস রেকডর্, দাগ খতিয়ানে প্রাপ্য হিস্যা ও জমির পরিমাণ, ১৯৭২ সালের পিও ৯৮/৭২ এবং ৯৬/৭২ অনুযায়ী দাখিলকৃত বিবরণী প্রয়োজন হবে। তাছাড়া যে কেউ এসেই জমির দাবি করলেই জমি ফেরত পাবেন এমন কিছু ভাবার সুযোগ নেই। অর্পিত সম্পত্তির বিষয় নিয়ে ভারতে যত কথাই বলা হোক না কেন দেশীয় আইনের বিবেচনায় না এলে জমি ফেরত প্রাপ্তির বিষয়টি অত সহজ হবে না।

দৈনিক জনকণ্ঠ, ২৮ মে ২০১২

No comments:

Post a Comment