হামলার প্রতিবাদে সংখ্যালঘুরা

হিন্দু বাড়িঘর মন্দিরের উপর হামলা অগ্নিসংযোগ লুটপাট ধ্বংসের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের হিন্দুরা
নিজস্ব প্রতিবেদক  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Published: 2013-03-02
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর দেশজুড়ে জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে মানববন্ধন করেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।

গত দুদিন ধরে দেশের কয়েকটি স্থানে হামলার পর শনিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে এই মানববন্ধন হয়।

সাঈদীর বিরুদ্ধে রায়ের পর গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার দক্ষিণ চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, বাগেরহাটে মন্দির ভাংচুর ও হিন্দুদের ওপর হামলা হয়।

মানববন্ধনের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেন, “গত বৃহস্পতিবার জামায়াত নেতা সাঈদীর ফাঁসির আদেশের পর সারা দেশে মহল বিশেষ অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে চলেছে।

“১৯৭১ সালের মত এ অরাজকতায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিশেষ ভাবে টার্গেট করা হয়েছে।”

হামলাকারীরা কারা- সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের প্রসিকিউটর রানা বলেন, “যেহেতু সাঈদী জামায়াত নেতা সেহেতু এ ঘটনার পেছনে জামায়াতে ইসলাম ও ইসলামী ছাত্রশিবির জড়িত।”

তিনি দাবি করেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক হাজারের বেশি বাড়িঘর, শতাধিক উপাসনালয় দুই দিনে আক্রান্ত হয়েছে এবং অনেককে জখম করে হত্যা করা হয়েছে।

“বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ২০১৪ সালের নির্বাচনের পূর্ববর্তী সময়কে আমরা এ দেশের ধর্মীয়- জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর জন্য ভয়াবহ হিসেবে বিবেচনা করছি,” বলেন রানা দাশগুপ্ত।

বৃহস্পতিবার বাঁশখালীতে সহিংসতার বিষয়ে তিনি বলেন, সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ১১ জন পুড়িয়ে হত্যা মামলার আসামি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান চৌধুরীর প্রত্যক্ষ ইন্ধন দিচ্ছেন।

এছাড়া বাঁশখালী পৌর জামায়াতের আমির এবং আবু নামে দুই কাউন্সিলর ইন্ধন দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

রানা দাশগুপ্ত বলেন, সাতকানিয়ার ঘটনায় চেয়ারম্যান রেজাউল করিম জড়িত।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় উদ্বেগ জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে পুনর্বাসন, ক্ষতিগ্রস্ত উপসনালয়গুলো পুনঃস্থাপনে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ নেয়াসহ ছয়টি দাবি জানানো হয়।

এই দাবিতে আগামী বুধবার বিকাল ৪টায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণাও দেয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন ইন্দুনন্দন দত্ত, বিজয় লক্ষ্মীদেবী, পরিমল কান্তি চৌধুরী, নিতাই প্রসাদ ঘোষ প্রমুখ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

No comments:

Post a Comment