শরীয়তপুরে সংখ্যালঘুর জমি দখল ॥ মামলা করতে গেলে মারধর

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর, ১৪ ডিসেম্বর ॥ শুক্রবার ভোরে শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলা সদরে গোসাইরহাট বাজারে অবস্থিত এক সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখল করে নিয়েছে স্থানীয় কতিপয় বিএনপি সন্ত্রাসীরা। তবে এ ঘটনার মূলনায়ক হলেন স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ও গোসাইরহাট থানার ওসির এক ভাই। ফলে ভুক্তভোগীরা থানায় মামলা করতে গেলে উল্টো ওসি নিজে তাদের মারধর করেছেন।
জানা গেছে, গোসাইরহাট উপজেলার মিত্রসেনপট্রি গ্রামের ৬৪নং মিত্রসেনপট্রি মৌজার ৩৪ শতাংশ জমির পৈত্রিক সূত্রে রেকর্ডিও মালিক হলেন মিত্রসেনপট্রি গ্রামের ভাষাণ মণ্ডল, কৃষ্ণ মণ্ডল ও লক্ষণ মণ্ডল। কিন্তু এলাকার প্রভাবশালী এক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও গোসাইরহাট থানার ওসি মোঃ শহীদুল ইসলামের ভাই সাদী স্থানীয় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় দখল করে নেয়। এরপর তারা উক্ত জমি মিত্রসেনপট্রি গ্রামের অসীম ম-লকে ভুয়া মালিক বানিয়ে ধীপুর গ্রামের আব্দুল হাকিম পেদার ছেলে গোসাইরহাট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনদ্দিন পেদা, ওসি শহীদুল ইসলামের ভাই ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি উপজেলার বিলগজারিয়া গ্রামের আলাউদ্দীন আহমেদের ছেলে মোঃ সাদী, স্থানীয় বিএনপি নেতা গোসাইরহাট উপজেলার দাসের জঙ্গর গ্রামের মোক্তার সরদারের ছেলে ডালিম সরদার, একই উপজেরার ধীপুর গ্রামের মৃত কলম আলী দেওয়ানের ছেলে মোস্তফা দেওয়ান ও মিত্রসেনপট্রি গ্রামের স্বপন মণ্ডলের স্ত্রী সম্পা রানী মণ্ডলের নামে ভুয়া দলিল করে নেয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ভূমির মালিক সন্ত্রাসীদের বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হামলা চালায়। আহতদের মধ্যে নিভা রানী মণ্ডলকে (আভ) ঢাকায় পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে ভাষাণ মণ্ডল গোসাইরহাট থানায় মামলা করতে গেলে ওসি শহীদুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং গোপাল কৃষ্ণ বণিককে মারধর করে। এ ব্যাপারে গোসাইরহাট থানার ওসি মোঃ শহীদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার ভাইয়ের নামে জমি দলিল করার বিষয়টি জানেন না বলে জানান।

দৈনিক জনকণ্ঠ। ১৫ ডিসেম্বর ২০১২

No comments:

Post a Comment