উখিয়ায় হিন্দু মন্দির ভাংচুরের দায় স্বীকার করল জামায়াত নেতা

উখিয়া প্রতিনিধি : কক্সবাজারের উখিয়ায় বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক সহিংসতা মামলার অন্যতম আসামী জামায়াত নেতা ছৈয়দ নুরকে শনিবার রাতে উখিয়া থানা পুলিশ তার শাশুড় বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল রোববার বিকালে সে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু ওবাইদার এজলাসে পালংখালী ইউনিয়নের পালংখালী বাজার ও গয়াল মারা

গ্রামের হিন্দু মন্দির ও বসতিতে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের কথা স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানান উখিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নীলু বড়ুয়া। স্বীকারোক্তিতে ঘটনার সাথে জড়িত সে ছাড়াও আরো বেশ কিছু সন্ত্রাসীর নাম প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, জামায়াত ইসলামী পালংখালী ইউনিয়ন শাখার রুকন ও সাবেক শিবির ক্যাডার পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমান পাড়া গ্রামের শফিকুর রহমানের পুত্র ছৈয়দ নুর (৩৫) এর নেতৃত্বে এক দল সন্ত্রাসী ৩০ সেপ্টেম্বর রাত ১০টায় এলাকার বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘর বাড়ি দোকান-পাটে হামলা ও ভুবেনশ্বরী মন্দির ভাংচুর করে। এ ঘটনায় ধনুরাম শীল বাদি হয়ে উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। উখিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নীলু বড়ুয়া জানান, গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে গয়াল মারা গ্রামে তার শাশুড় বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জামায়াত নেতা ছৈয়দ নুরকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল রবিবার তাকে কক্সবাজার কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। উখিয়ায় ৩০ সেপ্টেম্বর সংগঠিত সাম্প্রদায়িক সহিংস ঘটনায় ৪টি মামলায় প্রায় ৪ হাজার আসামীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৪৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ ও র‌্যাব। এরমধ্যে আটক ৩ জন ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট জবানবন্দি দিয়েছেন। উখিয়া জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল ফজল পুলিশের হাতে আটক ছৈয়দ নুর জামায়াতের সাথে সম্পৃক্ত বলে স্বীকার করেছেন।

সূত্র: সাঙ্গুনিউজ

No comments:

Post a Comment