দিনাজপুরে স্কুলছাত্রী দিতির হত্যাকারী শিক্ষকের বিচার দাবি

পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর।। যৌন হয়রানির শিকার আত্মহননকারী স্কুলছাত্রী দিতি রানী দাসের হত্যাকারী শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিককে পুলিশ গ্রেফতার না করে বরং বিচারপ্রার্থীদের নানাভাবে হামলা মামলার ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ করেছে তার পরিবার। শনিবার সকালে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শোকাহত পিতা অবিনাশ চন্দ্র দাস ও মাতা তুলি রানী দাস কান্নাজড়িত কণ্ঠে কন্যার হত্যার বিচার চেয়ে যৌন নির্যাতনকারী শিক্ষক আবু বকরের গ্রেফতারসহ ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।

চিরিরবন্দর উপজেলার উত্তর পলাশবাড়ী আমিরুন সিরাজ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী দিতি রানী দাসকে (১৪) একই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক পরীক্ষায় বেশি নাম্বার প্রদান ও জেএসসি পরীক্ষায় ফলাফল ভালো করার জন্য প্রাইভেন পড়ানোর নাম করে দীর্ঘদিন জোরপূর্বক ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন করেন। ২২ জুন ঘটনাটি জানাজানি হলে দিতির মা তুলি রানী মৌখিকভাবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহিন পারভেজ লিটনকে অভিযোগ করলে প্রধান শিক্ষক ঘটনাটি কোন গুরুত্বই দেননি। দিতির বাবা অবিনাশ দাস আবার প্রধান শিক্ষক আবু বকরের বিরুদ্ধে কোন ধরনের আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করে।

ধর্ষিত ও যৌন হয়রানির শিকার স্কুলছাত্রী দিতির পরিবার কোন বিচার না হওয়ায় মনের ক্ষোভে দিতি রানী আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। আবু বকর সিদ্দিকসহ একটি অসাধুমহল অর্থের বিনিময় ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য শোকাহত পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। কন্যার আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনাকারী ধর্ষক আবু বকরের বিরুদ্ধে দিতির বাবা চিরিরবন্দর থানায় মামলা দায়ের করলেও গত ২০ দিনেও পুলিশ ও প্রশাসন কোন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি এবং ধর্ষক আবু বকর ও ইন্ধনদাতা প্রধান শিক্ষক লিটনকে গ্রেফতার করেনি।

সংবাদ সম্মেলনে ক্রন্দনরত অবস্থায় নিহত দিতির পিতা অবিনাশ চন্দ্র ও মাতা তুলি রানী দাস ধর্ষক আবু বকর সিদ্দিকসহ স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের সম্মুখীন করাসহ ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে এলাকার সবুজ সরকার, আনোয়ার আলী, অনন্ত রায় ও হীরু সরকারসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

দৈনিক জনকণ্ঠ, ২ সেপ্টেম্বর ২০১২

1 comment:

  1. সাদেক9/03/2012 10:35 AM

    ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও তার সহকারী সাচ্চা মুসলিমের কাজ করে তাদের ইমানী দায়িত্ব পালন করেছেন। সুবহানআল্লাহ। হিন্দু হয়া মুসলিম দেসে থাকিস আবার ইজ্জত দিবি না? তার আবার বিচার চাস? তোদের সাহস তো কম নয়? শালা মালাউন।

    ReplyDelete