অবশেষে দশমিনার বিতর্কিত ইউপি দফাদার গ্রেফতার

সোমবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২

দশমিনা প্রতিনিধি: অবশেষে বহু নারী কেলেংকারী ঘটনার হোতা দশমিনার বেতাগী-সানকিপুর ইউনিয়নের দফাদার মোঃ শাওকত হোসেন আলম সংখ্যালঘু কিশোরী অপহরণের মামলায় বুধবার গ্রেফতার হয়।জানা যায়, বেতাগী-সানকিপুর ইউনিয়নের মৃতঃ সেকান্দার দফাদারের ছেলে মোঃ শাওকত হোসেন আলম দফাদার ওই এলাকার জনৈক সংখ্যালঘু পরিবারের ১৪ বছরের কিশোরীকে অপহরন করে ফেঁসে যায়। অতিষ্ট লোকজন আলম দফাদারের বিচারের দাবিতে ঠাকুর হাট এলাকায় দশমিনা পটুয়াখালী সড়কে জুতা-ঝাড়ু মিছিল ও মানবন্ধনের মতো কর্মসূচী পালন করে। এলাকার লোকজন জানায়, আলম দফাদার এযাবৎ ৪টি বিয়ে করেছেন। বর্তমানে তার দু'স্ত্রী রয়েছে। এছাড়াও প্রায় অর্ধশত নারীর সম্ভ্রাম হানির ঘটনারও অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে আলম দফাদার থানার ওসি ও এসআইদের পতিতা এনে মনোরঞ্জনের সুযোগ করে দিয়ে ফায়দা লুটতো। ৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে অপহৃত কিশোরীর পিতা প্রিয়ালাল মিস্ত্রি দশমিনা থানায় অপহরণ মামলা করেন। আলম দফাদার ৩১ আগষ্ট প্রিয়ালালের কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পথে পার্শবতর্ী বাউফলের কালাইয়া বন্দরে সন্দেহ বশ্ত জনতার হাতে আটক হয়। জনতা আলম দফাদারকে গণধোলাই এবং কিশোরীকে অভিভাবকের কাছে তুলে দেয়। এ ঘটনায় ওই এলাকার ৩৬০ ঘর নামক হিন্দু অধ্যাশিত এলাকায় ক্ষোভ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

সূত্র: পটুয়াখালী ওয়েব

No comments:

Post a Comment