’৭১-এর আগে দেশত্যাগীরা অর্পিত সম্পত্তি ফেরত পাবে না ॥ অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ’৭১-এর আগে দেশ ত্যাগকারীদের কোন রের্কড নেই। অর্পিত সম্পত্তিতে তারা মালিকানা পাবে না। সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে ভূমি ডিজিটালাইজেশন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ১৯৭২ সালে মুজিব ও ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির মধ্যে পরিষ্কারভাবে তা বলা আছে।

উল্লেখ্য, সরকার অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে দখল হয়ে যাওয়া হিন্দুদের বাড়ি জমি ফেরত দেয়ার উদ্যোগ নেই। এ উদ্যোগের প্রেক্ষাপটে ভারতের আনন্দ বাজার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের এ উদ্যোগের ফলে ভারত থেকে হিন্দুদের একটি প্রতিনিধি দল আসছে।

এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের এ উদ্যোগের ফলে ভারতের অনেকে বগল বাজাচ্ছে। এতে কোন লাভ হবে না। কারণ যারা ‘৭১ আগে দেশ ত্যাগ করেছে তাদের কোন রেকর্ড নেই। অর্পিত সম্পত্তি আইনে তাদের দাবি টিকবে না।

দুপুরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভূমি ডিজিটালাইজেশন সংক্রান্ত বৈঠক করেন। ওই বৈঠক শেষে সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ভূমি ডিজিটালাইজেশন করতে ভূমি সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে ওই কমিটি একটি কার্য পরিকল্পনা জমা দেবে।

ভূমি ডিজিটালাইজেশনের ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বেশি কাজ করতে পারিনি। সমন্বয়ের অভাবে বেশি দূর যাওয়া সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, সরকার ভূমি মিউটেশন একটি অফিস করবে। ওই অফিস থেকে ভূমি হস্তান্তর, টাকা পরিশোধ, দলিল তৈরি, নামজারিসহ সব কাজ এক অফিসে হবে। বর্তমানে একেক অফিসে একেক কাজ হচ্ছে। পরীক্ষামূলকভাবে তিনটি জেলায় এ কাজ করা হচ্ছে।
আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, তিন ক্ষেত্রে কাজ হচ্ছে। প্রথম কাজের মধ্যে ২১টি জেলায় ভূমি জোনিং কাজ শেষ হয়েছে। ভূমি সম্পর্কে ওই জেলার সব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বাকি ৪২টি জেলায় কাজ শেষ করতে আরও দুই বছর সময় লাগবে। এটি খুব ধীরগতিতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ডিজিটালাইজেশন পদ্ধতিতে কাজ হলে সবকিছু কম্পিটারাইজ হবে। এতে একটি দলিল পেতে ১০ দিন সময় লাগবে। এখন তিন বছর সময় লাগছে। অবশ্য কম্পিটারাইজ করতে ১৭৫ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে।

এক ব্যক্তির নামে এক ভাবে রেকর্ড হবে। ফলে একজন ব্যক্তির প্রোফাইলে ক্লিক করলে বাংলাদেশের ভেতরে তার নামে যত সম্পত্তি আছে তার তথ্য পাওয়া যাবে। ডিজিটালাইজেশনে ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের আপত্তির বিষয়টি বললে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের আশঙ্কা আর থাকবে না।

দৈনিক জনকণ্ঠ, ২৯ মে ২০১২

4 comments:

  1. হিন্দুরা বাংলাদেশে বেবসা করে বড়লোক হবার পর সব সম্পত্তি নিয়ে হটাত করে কলকাতায় চলে যায়| ওরা বাংলাদেশের নাগরিক হলেও ভারতকে ভালবাসে|

    ReplyDelete
  2. শামসুল6/22/2012 12:05 AM

    আর মুসলমানরা বোধহয় ভারতে, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেসিয়া, ইংল্যান্ড, জার্মানী, ইতালি, আমেরিকায় চলে যায়না তাই না সাগর? তুমি যে আসলে অল্পশিক্ষিত, কুয়োর ব্যাঙ তা তোমার মন্তব্য দেখে বোঝা যায়।

    ReplyDelete
  3. প্রাণের দায়ে '৭১ এ আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা অর্থাত্‍ সব বয়সের লোকই ভারতে যেতে বাধ্য হয়েছে (রোহিঙ্গাদের মত) । বয়স অল্প হওয়ার কারনে তাদের মধ্যে অনেকেরই '৭০ এর নির্বাচনের ভোটার লিস্টে নাম নেই, কিন্তু তাদের নামে সম্পত্তি আছে । মুক্তিযুদ্ধের পর অনেকে দেশে ফিরে আসে, অনেকে আবার ভারতে স্থায়ীভাবে রয়ে যায় । অনেকের সম্পত্তি অর্পিত হিসেবে তালিকাভূক্ত হয় এবং ঐ সম্পত্তি প্রভাবশালীরা লিজ নিয়ে দখল করে । মূল মালিক বা তার রক্তের সম্পর্কের অনেকেই (সপিণ্ড, সাকুল্য বা সগোত্র) বাংলাদেশে বসবাসরত স্থায়ী নাগরিক হলেও তারা ঐ সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । বঞ্চিত হওয়ার পেছনে অনেক কারন আছে । প্রধান কারন হল হিন্দুরা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু , তাই তারা অবহেলিত । একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পক্ষে এটি লজ্জ্বাজনক । সংখ্যালঘু বলে হিন্দুরা কি চিরকাল বঞ্চিতই থাকবে ? নাকি ন্যায়-নীতি-আইন বাস্তবায়ন ও প্রয়োগের মাধ্যমে এদেশ সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তথা সোনার বাংলায় পরিনত হবে ? এটিই এখন মূখ্য প্রশ্ন ।

    www.facebook.com/achintac1

    ReplyDelete
  4. enemies-of-india.blogspot.com

    ReplyDelete