সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু-বৌদ্ধ ঐক্যপরিষদ নেতৃবৃন্দের অভিযোগ : প্রশাসনের ব্যর্থতার কারনে কালিগঞ্জের ফতেপুর ও চাকদা গ্রামে এই নারকীয়

দেশনিউজ২৪ ডটকম : ধর্মন্ধতাকে পুঁজি করে একটি মহল অতি উৎসাহী হয়ে কালিগঞ্জের ফতেপুর ও চাকদা গ্রামে ১২টি হিন্দু পরিবার ও ৩টি মুসলিম পরিবারের উপর নির্যাতন চালিয়েছে। তাদের বাড়ী-ঘর যেভাবে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে তা মধ্যযোগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। প্রশাসনের ব্যর্থতার কারনে আজ এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তারা এ হামলার ঘটনার সাথে জড়ীতদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার এবং ক্ষতিগ্রসত্ম পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপুরন দেয়ার দাবী জানিয়েছে।

বাংলাদেশ হিন্দু -বৌদ্ধ ঐক্যপরিষদ ও বাংলাদেশ পুঁজা উৎজাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় নের্তৃবৃন্দ মঙ্গলবার কালিগঞ্জের ফতেপুর ও চাকদা এলাকা পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন এই অভিযোগ করেন।

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্ট্রান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মন্ডলির সদস্য বাসুদেব ধর সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে তারা জানতে পেরেছেন, ফতেপুর হাইস্কুল গত ২৭ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে যে নাটক মঞ্চস্থ করেছিল তাতে মহানবী (স:) সম্পর্কে কোন ধরনের কটুক্তি করা হয়নি। অথচ সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকা ঘটনার ২ দিন পর পরিকল্পিত ভাবে গত ২৯ মার্চ সংখ্যায় মিথ্যে ও মনগড়া তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে ঘটনা উস্কে দিয়েছে। উদ্ভত এই পরিস্থিতির জন্য ওই পত্রিকার সম্পাদক দায়ী। তিনি ওই রিপোর্টের সমালোচনা করেন এবং পত্রিকাটি বন্ধ করার দাবি জানান। তিনি বলেন, ঢাকায় ফিরে গিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পত্রিকার ভূমিকা সহ সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরবেন।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার প্রথম থেকে যদি প্রশাসন আরও কঠোর হতো তাহালে পরিস্থিতি এতদূর গড়াত না। প্রশাসনের ব্যর্থতার কারনে কালিগঞ্জের ফতেপুর এলাকায় এই নারকীয় হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং যা পরে উপজেলার চাকদহা পর্যমত্ম বিস্তৃতি লাভ করেছে। ভবিষ্যতে যাতে এধরনের ঘটনা ওই এলাকায় আর না ঘটে সেজন্য প্রশাসনকে সজাগ থাকার জন্য তিনি অনুরোধ জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিতি ছিলেন বাংলাদেশ পুঁজা উৎজাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জি, সাতক্ষীরা পুঁজা উৎজাপন পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জন মুখার্জি সহ জেলার নের্তৃবৃন্দ।
সূত্র: দেশনিউজ২৪

No comments:

Post a Comment