সাতক্ষীরায় ঘটনা তদন্তে কমিটি করতে নির্দেশ

ঢাকা, এপ্রিল ২৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- সাতক্ষীরায় হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর তদন্তে আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

কালীগঞ্জের ওই ঘটনায় স্বতপ্রণোদিত রুলের শুনানিতে বুধবার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনার সময়কার কালীগঞ্জের ওসি ও সাতক্ষীরার এসপির ভূমিকা এবং হুজুর কেবলা নাটকে হজরত মুহাম্মদকে কটাক্ষ করা হয়েছিল কি-না, তা খতিয়ে দেখতে কমিটিকে বলা হয়েছে।

কমিটিকে আগামী ১৭ মের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গত ২৭ মার্চ কালীগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘হুজুর কেবলা’ নামে একটি নাটক মঞ্চায়ন করে শিক্ষার্থীরা।

ওই নাটকে হজরত মুহাম্মদের চরিত্র বিকৃত করা হয়েছে দাবি করে স্থানীয় একটি সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশ করেন জামায়াতে ইসলামীর এক জন। এরপর তা ব্যবহার করে স্থানীয়দের উস্কানি দিয়ে ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল ফতেপুর ও চাকদা গ্রামে ১৭টি হিন্দু ও মুসলিম বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

এই ঘটনার পর কালীগঞ্জের ওসি সৈয়দ ফরিদউদ্দিন এবং সাতক্ষীরার এসপি হাবিবুর রহমান খানকে প্রত্যাহার করা হয়।

তলবের আদেশে ওই এসপি এবং ওসি বুধবার আদালতে হাজির হন।

বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি রবীন্দ্র ঘোষ গত ১৫ এপ্রিল নির্যাতন সংক্রান্ত কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন আদালতে তুলে ধরলে ওই দুই কর্মকর্তাকে ২৩ এপ্রিল হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেদিন হরতালের কারণে আদালত না বসায় বুধবার হাজিরা দেন তারা।

আগামী ১৭ মে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে ওই দিনও দুই কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

আদালতে দুই পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন এবং সরকারপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান শুনানি করেন।

সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত শুনানির পুরোটা সময় দুই পুলিশ কর্মকর্তা কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকেন।

১৫ এপ্রিলের স্বতপ্রণোদিত ওই আদেশে কালীগঞ্জে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বন্ধে ব্যর্থতার জন্য এই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে কেন বরখাস্ত করা হবে না এবং মানুষের বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের সম্পদ রক্ষায় ব্যর্থতায় তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএন/এএইচ/এমআই/১৯৪৫ ঘ.
http://bdnews24.com/bangla/details.php?id=192329&cid=2

No comments:

Post a Comment