চকরিয়ায় পুরোহিতকে অবরুদ্ধ করে শিবমন্দিরের জায়গা দখলের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, চকরিয়া, পেকুয়া, ২৯ মার্চ ॥ কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হিন্দু সম্প্রদায়ের পুরোহিতকে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে শিবমন্দিরের জায়গা জবর দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাত ও বৃহস্পতিবার সকালে শতাধিক সন্ত্রাসী পাহারা বসিয়ে সরকার দলীয় স্থানীয় কয়েক নেতা মন্দিরের জায়গাটি দখলে নেয়। এর আগে চকরিয়া থানা ও স্থানীয় হারবাং ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে কয়েকদফা অভিযান চালালেও দখলকারীদের দমাতে ব্যর্থ হয়। পরে সন্ত্রাসীরা ঠিকই মন্দিরের জায়গা দখল করে নিয়েছে।

হারবাং শিবমন্দিরের পুরোহিত ননী গোপাল চক্রবর্তী জানান, উপজেলার উত্তর হারবাং এলাকায় সরকার শিবমন্দিরের নামে ৫ একর জায়গা বন্দোবস্ত দেয়। মূলত এসব জায়গা একসময় সংরক্ষিত বনভূমি ছিল। পরে তা শিবমন্দিরের নামে বন্দোবস্ত দেয়া হয় এবং এসব জায়গা মন্দিরের পুরোহিত হিসেবে তাকে দেখভালের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। পুরোহিত অভিযোগ করে বলেন, ইতোপূর্বে শিবমন্দির পরিচালনার নামে তথাকথিত একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে রয়েছেন শ্যামল কান্তি আর্চায, বিমল নাথসহ একদল ভূমিদস্যু। সম্প্রতি তারা স্বঘোষিত উপজেলা পুজো কমিটির আহ্বায়ক দাবিদার তপন কান্তি দাশ ও সদস্য সচিব বাবলা দেবনাথকে নিয়ে মন্দিরের কর্তৃত্ব দখলে নেয়ার জন্য শিবমন্দিরে যায়। এ সময় তারা আমাকে (পুরোহিত) মন্দির ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় এবং তাদের কথামতো মন্দির ছেড়ে চলে না গেলে প্রাণে মেরে লাশ গুম করারও হুমকি দেয়, এমনকি তারা প্রতিনিয়ত আমার বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে চলেছে যাতে আমি মন্দির ছেড়ে চলে যাই। পুরোহিত বলেন, এরই অংশ হিসেবে গত বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালে হারবাং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মোরশেদ, মোহাম্মদ ইসলামের পুত্র পারভেজ ও শাহাদাত মুন্সির পুত্র অহিদ শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিয়ে তাকে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ফরহাদ বলেন, এ ঘটনার পর কয়েকবার ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং আমি উভয়পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলেছি। যদি কেউ মন্দিরের জায়গা দখল করে, তবে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক জনকণ্ঠ

No comments:

Post a Comment