সিলেটে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গরু খাওয়ানো, ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ

বৃহস্পতিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০১২
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভ্রান্ত করে গরুর মাংস খাওয়ানোর ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল আদেশ দেয়। দৈনিক মানবজমিন-এ গত ২৮শে ডিসেম্বর প্রকাশিত ‘সিলেটে গরুর মাংস খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ১০৮ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মালম্বীদের বিভ্রান্ত করে গরুর মাংস খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে সিলেটে উত্তেজনা চলছে। বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছেন হিন্দু সমাজের লোকজন। এই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে আইনজীবী অমিত দাস গুপ্ত হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। শুনানি শেষে দেয়া আদেশে সিলেটের জেলা প্রশাসক, সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের ওই ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই ঘটনায় নিজেদের ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে ওই অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. সায়েলা খাতুন, সদস্য সচিব নাজমা বেগম এবং ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে আগামী ১৬ জানুয়ারি আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে একই দিন এ বিষয়ে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আদেশে আদালত বলেন, বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এ দেশের সংবিধানে সকল ধর্মাবলম্বীদের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। এখানে পুনর্মিলনীর মতো সর্বজনীন অনুষ্ঠানে গরুর মাংস খাওয়ানো হয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা গরুর মাংস খান না। সেখানে এ ধরনের অনুষ্ঠানে মানুষকে বিভ্রান্ত করে গরুর মাংস খাওয়ানো গুরুতর অপরাধ। আদালতে রিট আবেদনকারী অ্যাডভোকেট অমিত দাস গুপ্ত নিজেই শুনানি করেন। সরকারপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আলতাফ হোসেন।

মানবজমিন

No comments:

Post a Comment