'৭৫ পরবর্তী সংখ্যালঘুদের ওপর সব অত্যাচারের বিচার দাবি

বিজয়া সম্মেলন
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ পঁচাত্তর-পরবর্তী সংখ্যালঘুদের ওপর সকল অত্যাচারের বিচার করতে হবে। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জবর দখল জায়গা উদ্ধারে উদ্যোগ নিতে হবে। আর অর্পিত সম্পত্তি আইন সংশোধন করতে হবে। অসাম্প্রদায়িক চেতনা বাস্তবায়ন করে নাগরিক বৈষম্য দূর করতে হবে। বৃহস্পতিবার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির বিজয়া সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বিকেল ৬টায় ঢাকেশ্বরী মন্দির মেলাঙ্গনে বিজয়া সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের উদ্ধোধন করেন সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) সি. আর. দত্ত বীরউত্তম। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন। সম্মেলনের আলোচনায় বক্তব্য রাখেন সাংসদ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অধ্যাপিকা অপু উকিল, সাধনা হাওলাদার, বাংলাদেশ পূজো উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট সুব্রত চেীধুরী, প্রদীপ চক্রবর্তী, মঙ্গল চন্দ্র ঘোষ ও মানিক সরকার পলাশ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল দেবনাথ।

সম্মেলনে অধ্যাপিকা অপু উকিল এমপি বলেন, বাংলাদেশে পঁচাত্তর থেকে ৯৬ সাল পর্যনত্ম এবং ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যনত্ম নির্মমভাবে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন-নিপীড়ন করা হয়েছে। ঘরবাড়ি দখল, খুন, জোর করে দেশত্যাগ করানোসহ সংখ্যালঘু নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছে। কোথাও কোথাও এর বিচার কাজ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। তাই পঁচাত্তর থেকে বর্তমান পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের ওপর সকল নির্যাতনের বিচার করতে হবে।

এ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জবর দখল হওয়া জায়গা উদ্ধারে জোর পদৰেপ নিতে হবে। হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট বাতিল করে হিন্দু ফাউন্ডেশন করতে হবে। বেদখল হওয়া সকল সম্পত্তি ফিরিয়ে দিতে হবে। দেবোত্তর সম্পত্তি রৰায় আইন করতে হবে। স্থানীয় সাংসদ মোসত্মফা জালাল মহিউদ্দিন ঢাকেশ্বরী মন্দিরের বেদখল জায়গা উদ্ধারে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন বলেন, পারস্পরিক সহিষ্ণুতার মধ্য দিয়ে দিয়ে গণতান্ত্রিক ধারাকে শক্তিশালী করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ কিন্তু ধর্ম যেন রাজনীতির হাতিয়ার না হয়। আলোচনার শেষে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে শিল্পী শর্মিলী বন্দোপাধ্যায় ও তার দল নৃত্য পরিবশেন করেন। কবিগান পরিবেশন করেন সাইদুর রহমান বয়াতীও তার দল।

দৈনিক জনকণ্ঠ, ০৫ নভেম্বর, ২০১০

No comments:

Post a Comment