গাইবান্ধায় মন্দির ভাংচুর হামলা।। ওসিসহ আহত ৭

নিজস্ব সংবাদদাতা, ১ অক্টোবর, গাইবান্ধা।। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বোয়ালিয়া সার্বজনিন শিববাড়ী কালীমন্দির ভাঙ্গা নিয়ে শুক্রবার বিকেলে দু'পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ৭ ব্যক্তি আহত হয়েছে। ওই এলাকায় এখন টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। জনতা সন্ধ্যায় বোয়ালিয়া মোড়ে রংপুর-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে। ফলে রাস্তার উভয় পাশে শত-শত যানবাহন আটকা পড়ে।

জানা গেছে, শিববাড়ী কালী মন্দিরে কয়েক যুগ ধরে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন কালী ও দুর্গাদেবীর পূজো অর্চনা করে আসছে। গত ২/৩ বছর ধরে জনৈক লিপু মন্ডল গোপনে একটি জাল দলিলের মাধ্যমে ওই মন্দিরের ৫ শতক জায়গা মালিকানা দাবী করে আসছে। বিভিন্ন সময় তার লোকজন পূজো অর্চনার কাজে বাধার সৃষ্টি করে। এ নিয়ে আদালতে বর্তমানে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

প্রতিবারের মতো এবারও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ওই মন্দিরে দুর্গাপূজো উদযাপনের সকল আয়োজনের উদ্যোগ নিলে লিপু মন্ডলের লোকজনের সঙ্গে মন্দির কমিটির মধ্যে নতুন করে বিরোধ দেখা দেয়। এই অবস্থায় গতকাল শুক্রবার বিকেলে লিপু মন্ডলের লোকজন হামলা চালিয়ে মন্দির এবং দুর্গাপ্রতিমা ভাংচুর করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধভঅবে হামলাকারীদের বাধা দিতে এগিয়ে আসে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি আবু আক্কাস আহমেদ একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে তিনি আহত হন। এছাড়াও উভয় পক্ষের আরও ৬ ব্যক্তি আহত হয়। এ ঘটনার পর সন্ধ্যায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বোয়ালিয়া মোড়ে রংপুর-বগুড়া মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অবরোধ তুলে নেয়ার জন্য অবরোধকারীদের সঙ্গে প্রশাসনের আলোচনা চলছিল।

গাইবান্ধঅর জেলা প্রশাসক মো: শহীদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

জেলা পূজো উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রণজিৎ বকশী সূর্য বলেন, মন্দির এবং প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনার আমরা সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

দৈনিক জনকণ্ঠ, ২ অক্টোবর ২০১০

1 comment: