নরসিংদীতে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর লুট: আহত ৫

নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর পলাশে শ্মশানের জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের ৪টি বাড়িঘর ও মূর্তি ভাংচুর এবং তাদের বাড়িতে লুটপাট করেছে সন্ত্রাসীরা। তাদের হামলায় মহিলাসহ ৫ জন আহত হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্তরা এবং এলাকাবাসী জানায়, চিহ্নিত সন্ত্রাসী জয়নালের নেতৃত্বে হামলাকারীরা শ্মশানের নির্মাণ সামগ্রী ভেঙে গুঁড়িয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দিয়েছে। হামলায় আহতরা হলো ধীরেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ, তার স্ত্রী অঞ্জলী রাণী বর্মণ, নিয়তি চন্দ্র বর্মণ, হিরুনী চন্দ্র বর্মণ এবং সুনীল চন্দ্র বর্মণ। আহত ২ জনকে স্থানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রোববার দুপুরে পলাশ থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ সাথী নামের এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, গত ১৫ জুলাই চরসিন্দুরে প্রিয়তুষ ও নিখিল বর্মণের দান করা ৫ শতাংশ জমিতে স্থানীয় সাংসদ ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ শ্মশানঘাটের ভিত্তপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর থেকে শ্মশান নির্মাণের প্রস্তুতি চলে। গত শনিবার রাতে স্থানীয় সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু জয়নাল, ইসমাইল এবং বাবুলসহ ১৫-১৬ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এবং শ্মশানের নির্মাণ সামগ্রী ভেঙে গুঁড়িয়ে নদীতে ফেল দেয়। এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বাধা দিলে তাদের মারধর করা হয়। তাদের বাড়িঘরে লুটপাট ও হামলা চালানো হয় এবং মূর্তিসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়। সন্ত্রাসীরা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার এবং মোবাইল ফোনসেটসহ প্রায় ১ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

সমকাল, ২৭ জুলাই, ২০০৯

No comments:

Post a Comment