বগুড়া শহরে শত বছরের মন্দির সংস্কার ও উন্নয়নে বাধা

বগুড়া ব্যুরো
বগুড়া শহরের মালতিনগর বকশি হাটখোলায় শত বছরের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী সার্বজনীন বারোয়ারি পূজা মন্দিরের সংস্কার এবং উন্নয়ন কাজে প্রভাবশালী মহল বাধা দিচ্ছে। এতে জেলার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সার্বজনীন বারোয়ারি পূজা কমিটির সভাপতি জগদীশ গোস্বামী ২৩ জুন জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদনে বলেছেন, স্মরণাতীত কাল থেকে এ মন্দিরে দুর্গা, বাসন্তিসহ বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা ও অন্যান্যা ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি সারম্বরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সঙ্গে হয়ে আসছে। সনাতন ধর্ম ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকজন সাহায্য-সহযোগিতা করে আসছেন। মন্দিরটি মালতিনগর মৌজায় ২৭৭ দাগের ১২.৫০ শতাংশ জমির ওপর স্থাপিত। মন্দির কমিটি পূজারি ভক্তদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার সুবিধার্থে এর সংস্কার ও উন্নয়ন কাজের উদ্যোগ নেয়। ১৯ জুন বিএনপির সাবেক সাংসদ আজিজুল হক মোল্লার ছেলে ও সাবেক এমপি ডা. জিয়াউল হক মোল্লার ভাই জগলুল হক মোল্লা রিক্কাত প্রশাসনের মাধ্যমে এ কাজে বাধা দেন। এতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা হতভম্ব ও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যান। তিনি বলেন, এক দাগে চিরস্থায়ী নিষ্কর জমিতে স্থাপিত প্রাচীন মন্দিরের উন্নয়ন কাজে ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ চিন্তা করা যায় না। মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল রায় জানান, প্রভাবশালী রিক্কাতের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ২৫ জুন ১৪ দিনের জন্য স্থগিতাদেশ দেন। তিনি স্থায়ী স্থগিতাদেশের আবেদন করেছেন। শ্যামল রায় বলেন, এ মন্দিরটি শুধু হিন্দুদের নয়, এখানে সব ধর্মের লোকজন নাটক, সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে থাকেন।

দৈনিক যুগান্তর, ০৪ জুলাই, ২০০৯

No comments:

Post a Comment