বি'বাড়িয়ায় সংখ্যালঘু নির্যাতন, আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।। হুমকি ধমকি অব্যাহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ৩ এপ্রিল।।

তিন দিন পেরিয়ে গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংখ্যালঘু নির্যাতনকারীদের এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। মামলার আসামিরা শহরে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হুমকি-ধমকি দিচ্ছে দেখে নেয়ার। তারপরও পুলিশের কোন তৎপরতা নেই। এতে করে সংখ্যালঘুদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। পৈরতলার দারিয়াপুর গ্রামের সংখ্যালঘু নির্যাতন ঘটনাটি জনকণ্ঠসহ দেশের প্রধান দৈনিকগুলো বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করে। টেলিভিশনগুলোও এ নিয়ে রিপোর্ট প্রচার করে। এ মুহূর্তে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একমাত্র আলোচ্য বিষয়। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা। ঘটনার তিন দিনের মাথায় সন্ত্রাসীচক্রের গডফাদার, দরিদ্র জেলেদের মাছ লুণ্ঠনকারীদের গ্রেফতার না করায় নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আমানুল হক সেন্টু জানান, ৩৮ বছর ধরে এ এলাকার সংখ্যালঘুরা সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি। আসামি ধরার জন্য সদরের এমপি নির্দেশ দিলেও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভিন্ন চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে করে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এক বিবৃতিতে সংখ্যালঘুদের ওপর চাঁদা দাবি ও নির্যাতনের নিন্দা জানিয়েছেন। অন্যদিকে সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চু এক বিবৃতিতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান। তিনি দোষীদের শাস্তি দাবি করেন। এদিকে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহিদ বলেন, আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। মাছ লুণ্ঠনকারী মুসলিম মিয়া সাংবাদিকদের জানান, তিনি মাছ খান না। প্রতিদিন দু'টি করে মুরিগ খান। তার পুত্রের ৪০টি পুকুর রয়েছে।

দৈনিক জনকণ্ঠ, ৪ এপ্রিল, ২০০৯

No comments:

Post a Comment