নগরকান্দার পল্লীতে মন্দিরে হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

------

নিজস্ব প্রতিবেদক, ফরিদপুর
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম মুকুন্দপট্টিতে স্থানীয় শ্মশান কালীমন্দিরে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে একদল দুর্বৃত্ত। হামলাকারীদের আধঘণ্টার তাণ্ডবে শ্মশান কালীমন্দিরটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে নগরকান্দা থানায় মামলা করা হয়েছে। হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমাবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চরযশোরদি ইউনিয়নের মুকুন্দপট্টি, বানেশ্বরদি এলাকার সাবেক ইউপি মেম্বার সিরাজ শেখের নেতৃত্বে একদল লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কুমার নদের তীরে অবস্টি’ত শ্মশান ও সংলগ্ন কালীমন্দিরে হামলা চালায়। তারা আধঘণ্টাব্যাপী মন্দিরটি ঘিরে রেখে প্রতিমা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিহত করতে চাইলে হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের তাড়া করে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করে। সরেজমিনে মঙ্গলবার বিকেলে মুকুন্দপট্টি গ্রাম পরিদর্শন করে জানা যায়, ১৯৬২ সালের আরএস/এসএ রেকর্ডে মন্দিরের ৭ শতাংশ জায়গা শ্মশান হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। গ্রামের বাসিন্দারা মরদেহ দাহ করার কাজে দীর্ঘদিন ধরে শ্মশানটি ব্যাবহার করে আসছে। ৩ মাস আগে বাঁশের বেড়া ও ছাউনি দিয়ে শ্মশান কালীমন্দিরে নতুন করে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করে হিন্দু সম্প্রদায় অধ্যুষিত এ এলাকার বাসিন্দারা। চরযশোরদি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খন্দকার ওয়াহিদুল বারী আলম সমকালকে বলেন, রাতে সিরাজ শেখ ও তার লোকজন মন্দিরে হামলা চালানোর আগে বাজি-পটকা ফুটিয়ে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করে। তারা সবাই বিএনপির কর্মী-সমর্থক। দীর্ঘদিন ধরে মন্দির ও শ্মশানের জায়গা দখল করার চেষ্টা করে আসছে সিরাজ শেখ।

নগরকান্দা থানার ওসি জালাল উদ্দীন সমকালকে জানান, নতুন রেকর্ডে সিরাজ শেখ মন্দিরের জায়গাটি নিজের নামে করিয়ে নিলেও স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা বৈঠকে বসে এই সামান্য জায়গাটুকু এলাকার স্বার্থে মন্দির ও শ্মশান হিসেবে ব্যবহারে মন্দির কমিটিকে হস্তান্তরের জন্য তাকে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু সে কারো কথা না মেনে উল্টো আমার (ওসি) নামেও মামলা করে। গতকালের ঘটনায় সিরাজসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন মন্দির কমিটির সদস্য মনোরঞ্জন বিশ্বাস। তবে কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।

খবর: সমকাল
ছবি: আমারব্লগ

3 comments:

  1. আমি এই ব্লগের মিথ্যা অপপ্রচার সম্পর্কে পাঠকসমাজকে সাবধান ও সচেতন থাকার অনুরোধ করছি। এই ব্লগটিতে যেসব ঘটনা প্রকাশিত হয়েছে, তার সবগুলো মিথ্যা, অপপ্রচার ও বানিয়ে বানিয়ে লেখা কাহিনীমাত্র। এর সাথে আমাদের বাংলাদেশের সত্যিকারের সামাজিক চিত্রের কোনরকম সম্পর্ক নাই।

    ReplyDelete
  2. ভাই আপনি কে? আপনার কাছে কি রিপোর্ট আছে যে এটা মিথ্যা? আমি এই ব্লগের সাথে যুক্ত না থাকলেও বলতে পারি যে এগুলো সত্যি। আমি বাংলাদেশে থাকাকালীন সময়ই এই ধরনের ঘটনা নিজের চোখে দেখেছে।
    AMNISTY International এবং এই ধরনের আরো নন-প্রফিট অর্গেনাজেশন এই ধরনের ঘটনা ঘাটছে। আপনার কাছে এই ধরনের প্রমানের বিরুদ্ধে কিছু বলার আছে? প্রমাণ নিয়েই কথা বলবেন প্লিজ।

    ReplyDelete
  3. তুই কে? আর এক মালাউন নাকি? যা ভাগ। তোদের দেশ ভারতে চলে যা। বাংলাদেশে থাকিস, বাংলাদেশের খাস, আবার বাংলাদেশের দোষ দেখিস। শালা, বিশ্বাসঘাতক।

    ReplyDelete