আনন্দ শর্মার জীবনে এবার 'নির্বাচনী ঘূর্ণিঝড়' আসেনি

তোফায়েল আহম্মেদ, কক্সবাজার।। ঘূর্ণিঝড়-বন্যার মতো প্রাকৃতি দুর্যোগকালীন সময়ের মতোই আনন্দ শর্মা (৪৫) পুরো এক মাসের রসদ পাতি (খাবারদাবার) কিনেই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন এবার। আনন্দ শর্মার কাছে জাতীয় নির্বাচন মানেই সেই যেন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন সময়ের মতোই। সেই ২০০১ সালের অক্টোবর নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে পরের দিনই কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মরিচ্যা ও কোটবাজার এবং স্থানীয় বাসস্টেশনের নরসুন্দরের সেলুনগুলোতে তালা লাগিয়ে তাদের ওপর নির্যাতনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল জোট সন্ত্রাসীরা। একটানা দু'সপ্তাহের বেশি দিন বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হয়েছিল এসব দোকান। হুঙ্কার দেয়া হয়েছিল তাদের ভাতে মারার পর্যন্ত। এমনকি সেলুন খুলে দিয়ে পরবর্তিতে চুল ও দাড়ি কাটার জন্য ২/৪ টাকার দরদামও তাদের জোরপূর্বক নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। তাই খাবারদাবার নিয়ে দিন কাটাতে হয়েছিল বেশ কষ্টে। সেই বিভীষিকাময় অবস্থা থেকে রক্ষার জন্যই এবার তিনি আগাম প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের মহাজন শীলপাড়ার বাসিন্দা এই আনন্দ শর্মা। স্থানীয় মরিচ্যা বাজারে রয়েছে তার সেলুন। এবারও ২০০১ সারের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবার আশঙ্কায় আনন্দ শর্মা পুরো এক মাসের রসদপাতি যোগাড় করে রেখেছিলেন ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগেই। কিন্তু ভাগ্য যেন এবার বড্ড ভাল আনন্দের জন্য। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট বিজয়ী হওয়া ছাড়াও নির্বাচনের আগে-পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকায় এ যাত্রায় রক্ষা পেয়েছেন তারা।

জনকণ্ঠ, ০৩ জানুয়ারি, ২০০৯

No comments:

Post a Comment