সংখ্যালঘুরা ভোট দিয়েছেন নির্বিঘ্নে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক ||

ভোটার কি সংখ্যালঘু না সংখ্যাগুরু বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরতে গিয়ে তার কোন প্রভাব লক্ষ্য করা যাইনি। প্রার্থীদের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে পোলিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার কেউই এ বিষয়টিকে আলাদা করে দেখেননি। রাজধানীর ১৫টি আসনে সংখ্যালঘু ভোটাররা ভোট দিয়েছেন বিনা বাধায়। গত নির্বাচনে রাজধানীর অনেক এলাকায় সংখ্যালঘু ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। অনেকে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখেছে ভোট দেয়া হয়ে গেছে। কিন্তু এ বছর বির্নাচনে সংখ্যালঘুরা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরেছেন। গতকাল বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বলা যায়, প্রথমবারের মতো এবার সংখ্যালঘু ভোটাররা নিশ্চিন্ত মনে ভোট দিতে পেরেছেন। এবার খোদ ভোটাররাই বলেছেন, তাদের কেউ প্রভাবিত করার চেষ্টা করেনি, হামলা বা হুমকি-ধমকিও চলেনি কোন সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর। মহাখলীর কৃষ্ণা রায় এবার ভোট দিয়েছেন খুব স্বাচ্ছন্দ্যে, কোন পিছুটান ছিল না তার। তিনি বলেন, অন্যান্য সময়ের মতো এবারও কিছুটা ভয়ের মধ্যে ছিলাম নির্বাচন নিয়ে। কিন্তু সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বক্তব্যে কিছুটা আশঙ্কিত হয়েছিলাম। ভোট দিতে এসে এতটা ভাল পরিবেশ পাব ভাবিনি।
ধামরাই বালিয়া ইউনিয়নের পাবরাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দুপুর ১টার সময়ও দীর্ঘ লাইন। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৭২৩। এ এলাকার অধিকাংশ ভোটার হিন্দু ধর্মাবলম্বী। লাইনে দাঁড়ানো মহিলাদের প্রায় সবার সিঁথিতে ছিল সিঁদুরের দাগ। ভোটার লাইন থেকে চন্দ্রমনি বলেন, এবার ভোটের জন্য কেউ জোর-জবরদস্তি করেনি। শান্তি মতো ভোট দিতে পেরেছি। বৃদ্ধা কুমুদীনি একই কথা জানিয়ে বলেন, ভোটের জন্য এবার কেউ তাদের কোন ধরনের ভয়ভীতি দেখায়নি বা বাধা দেয়নি।

গত নির্বাচনে শাহজাহানপুরের সব কেন্দ্রে সংখ্যালঘুরা ভোট দিতে পারেনি। ভোট কেন্দ্রে দেখেছেন তার ভোট অন্যদিকে। কিন্তু নবম জাতীয় নির্বাচনে এসব কেন্দ্রে কোন বাধা ছিল না। শাখারীবাজার- তাঁতিবাজার সংখ্যালঘু অধ্যুসিত এলাকা। এখানে বরাবরই নির্বাচন এলে তাদের আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হতো। এ বছর সে আতঙ্ক নেই। সবমিলে রাজধানীর ভোট কেন্দ্রগুলোয় সংখ্যালঘু ভোটাররা বিনা বাধায় ভোট প্রয়োগ করেছেন।

সংবাদ, ৩০ ডিসেম্বর, ২০০৮

No comments:

Post a Comment